বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শুক্রবার দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, অনলাইন আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এদিন সকাল ৯টায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কাজলা ভবন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শোভাযাত্রা বের করে। সেটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ফটক দিয়ে প্রবেশ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।
এরপর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াস হোসেন, দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক এবং ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আকরাম হোসেন, প্লানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুর ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের সম্মানিত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ছাত্রছাত্রীরা।
শোভাযাত্রা পরবর্তী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অনলাইন আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোখলেসুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনায় যুক্ত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এম. সাইদুর রহমান খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. ওসমান গণি তালুকদার এবং উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মো. শহিদুর রহমান। এসময় আরো যুক্ত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ছাত্রছাত্রীরা।
আলোচনা পর্বে আলোচকরা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সেই সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, তরুণ প্রজন্মের দেশের প্রতি কর্তব্য ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেন।
উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এম. সাইদুর রহমান খান তার বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মতো দূরদর্শী একজন নেতা আমরা পেয়েছি বলেই একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি, সাথে একটি স্বাধীন পতাকা পেয়েছি।’ বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম ওসমান গণি তালুকদার শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অর্থনীতির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন।
আলোচনা পর্ব শেষ করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোখলেসুর রহমান। এরপর শুরু হয় অনলাইন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে এ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই