স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল-ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ। রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক সংহতি সমাবেশ থেকে এমন দাবি জানিয়েছে তারা। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
একই দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। গত রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করেন তারা।
সংহতি সমাবেশে ডক্টরস প্লাটফর্ম ফর পিপলস হেলথ এর সদস্য ড. জয়দীপ ভট্টাচার্য বলেন, শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন তারিখ দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা বলেছেন। খুলে দিবেন ভালো কথা, কিন্তু আপনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার প্রস্তুতি আসলে কী নিয়েছেন, এখনও নিচ্ছেন কিনা। এই খুলে দেয়ার বক্তব্য একটা অন্তঃসারশূন্য বক্তব্য মাত্র।
তিনি বলেন, আপনি যদি অন্য দেশের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন, তারা আস্তে আস্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে, বিভিন্ন শিফটে ভাগ করে খুলে দিয়েছে। তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে খুলে দেয়া যায়, তার একটা রূপরেখা তৈরির জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী-চিকিৎসকদের মতামত নিয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশে কি এমন কোন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে? নেয়া হয়নি।
এদিকে, সমাবেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদসহ কয়েকজন শিক্ষক সংহতি প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
সমাবেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ইসহাক সরকার নামে এক অভিভাবক বলেন, আমি খুব শঙ্কিত, যখন আমি ঘরে ঢুকে দেখি আমার বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া মেয়ে সারাদিন মোবাইল হাতে বসে থাকে। আমার অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী, আমার মেয়ে ফেসবুকে স্টাটাস দেয়, 'আর ভালো লাগছে না, একাকিত্ব আর ভালো লাগে না,' তখন আমি খুব উদ্বিগ্ন হই। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, সেখানে কখন জানি শিক্ষাকে বাদ দিয়ে শাসনই জাতির মেরুদণ্ড হয়, এটা ভেবে আমি শঙ্কিত।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ইসমাইল সম্রাট বলেন, সবকিছু খুলে দিয়ে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্ধ রাখা হয়েছে কেন? শিক্ষা যদি আমাদের মৌলিক অধিকার হয়ে থাকে, দেশ যদি সংবিধানিকভাবে চলে, তাহলে আমাদের মৌলিক অধিকার শিক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে কোন অধিকারে?
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
