২৪ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:৩৮

চমেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাখ্যান ছাত্রলীগ একাংশের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

চমেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাখ্যান ছাত্রলীগ একাংশের

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ৩১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি করেছে ছাত্রলীগের একাংশ। একইসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার ও ইন্টার্ন হোস্টেলের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমানের পদত্যাগ এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি করা হয়।  

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে ‘কলেজের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ২৩ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিস্কারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে’ অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডা. কেএম তানভীর। এসময় বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মো. খোরশেদুল ইসলাম।      

লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলা হয়, গত ২৯ ও ৩০ অক্টোবর চমেক ছাত্রাবাসে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন অধ্যক্ষ। কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী আকিবের ওপর হামলাকারীদের সিসিটিভি ক্যামেরায় চিহ্নিত করা গেলেও অধ্যক্ষ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। তিনি ক্যাম্পাসে জামায়াত-শিবিরের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করছেন। তাছাড়া ছাত্রাবাসে সংঘটিত হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় নির্দোষ ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি। একই সঙ্গে বর্তমান একাডেমিক কাউন্সিলের গঠন প্রণালী অবৈধ এবং কাউন্সিলের মিটিংয়ে উপস্থিত থাকা সদস্যদের অনেকে সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, এমন ২৩ জনকে কোনো ধরনের সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই শুধুমাত্র মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন মেয়াদে বহিস্কার করা হয়েছে। একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ১৬ জনের মধ্যে মাত্র ৭ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, চমেক ছাত্রলীগের রাজনীতিকে ধূলিসাৎ করার লক্ষ্যে বর্তমান অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার জামায়াত শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। চমেক শাখা ছাত্রলীগ অনতিবিলম্বে এমন একপাক্ষিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানায়। একই সঙ্গে সঠিক তদন্ত করে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণাদি সাপেক্ষে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ ও ৩০ অক্টোবর চমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত মঙ্গলবার চমেক একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় বিভিন্ন মেয়াদে ৩১ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়। আগামী ২৭ নভেম্বর শনিবার চমেক খোলার কথা।  
 
বিডি প্রতিদিন/এএম

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর