সাদা হুডি পরে মোটরসাইকেলে করে ক্যাম্পাসের ভেতরই রাবি ছাত্রীর ব্যাগ ছিনিয়ে নিলো ছিনতাইকারী একটি দল। ছিনতাইকৃত ব্যাগে ছাত্রীর মোবাইল, আইডি কার্ড, নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইয়ের শিকার উম্মে সালমা বৃষ্টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী নগরীর মতিহার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন। ভুক্তভোগীর উদ্ধৃতি দিয়ে তার বান্ধবী সাদিয়া নশিন সুরভী বলেন, ‘বৃষ্টির ছোট ভাইকে কোচিংয়ে ভর্তি করিয়ে আমরা শহর থেকে ফিরছিলাম। আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আমরা এক রিকশাযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করি। রিকশাটি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এলে, একটা মোটরসাইকেলে থাকা দুই যুবকের মধ্যে একজন বৃষ্টির হাতে থাকা ব্যাগ টেনে নিয়ে দ্রুতগতিতে চলে যায়।’
তিনি বলেন, ‘জোহা চত্বর পর্যন্ত আমরা ছিনতাইকারীদের দেখতে পেয়েছিলাম। ছিনতাইকারী বলে আমরা অনেক চিৎকারও করেছি কিন্তু অনেকে থাকা সত্ত্বেও কেউ এগিয়ে আসেনি। মোটরসাইকেলের দু’জন সাদা হুডি পরিহিত ছিল। ছিনতাইকৃত ব্যাগে মোবাইল, আইডি কার্ড, নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল। আমরা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি এবং নগরীর মতিহার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলী বলেন, ‘ছিনতাইয়ের বিষয়টি জেনেছি। আমি বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি এবং স্টুয়ার্ড শাখার যত গার্ড গেটগুলোতে কর্মরত আছেন তাদের তৎপর থাকতে বলেছি।’ বহিরাগতদের প্রবেশ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ না করাতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। তবে এটি আমাদের একার পক্ষে সম্ভব না। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদেরও সহযোগিতা প্রয়োজন।’
মতিহার থানা পুলিশের ওসি আনোয়ার আলী তুহিন জানান, ‘ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জিডি করেছে। আমরা অতিদ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আরেকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক