ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসি'তে ছাত্রীদের জন্য পৃথক নামাজের স্থান চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে একদল শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন টিএসসির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সৈয়দ আলী আকবর।
বুধবার তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। সেটার অনুলিপি আমাকে দিয়েছে। আগামীকাল উপাচার্যের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তবে টিএসসিতে জায়গা সংকটের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেয়েদের জন্য নামাজের জায়গা তো সুন্দর হতে হবে। সেই সঙ্গে ওযুখানার ব্যবস্থাও রাখতে হবে।
এর আগে, টিএসসি'তে নারী শিক্ষার্থীদের নামাজের জন্য জায়গা চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি প্রদান করে এক দল শিক্ষার্থী। উপাচার্য এ দাবিকে ইতিবাচক উল্লেখ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন বলে জানা গেছে।
স্মারকলিপির অনুলিপি টিএসসির পরিচালক সৈয়দ আলী আকবর ও উপদেষ্টা ড. সিকদার মনোয়ারা মুর্শেদের নিকটও প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, 'টিএসসির মতো জনপরিসরে ছেলেদের জন্য নামাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকলেও মেয়েদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাজে কিংবা নানাবিধ কারণে নারী শিক্ষার্থীরাও টিএসসিতে অবস্থান করে থাকেন। এছাড়াও রমজান মাস মুসলমানদের জন্য একটি পবিত্র ও ইবাদত পালনের মাস। এ মাসে টিএসসির সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ এবং বিভিন্ন জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি টিএসসি কেন্দ্রিক ইফতার কর্মসূচি দিয়ে থাকে। কিন্তু ইফতারের পরে নামাজের ব্যবস্থা না থাকায় অনেক নারী শিক্ষার্থী এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হয়।'
স্মারকলিপি প্রদান শেষে ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার সহ-সভাপতি আসিফ মাহমুদ জানিয়েছিলেন, টিএসসির মাস্টারপ্ল্যানে ছেলেদের এবং মেয়েদের জন্য আলাদা ভাবে 'প্রার্থনা কক্ষ'র ব্যবস্থা করবেন বলে উপাচার্য আমাদের আশ্বস্ত করেন।
আপাতত নারী শিক্ষার্থীদের নামাজের বিড়ম্বনা সমাধানের কথা বললে তিনি জানান, এ বিষয়ে টিএসসির পরিচালকের সাথে কথা বলে টিএসসিতে মেয়েদের নামাজের ব্যবস্থা করবেন।
আসিফ জানান, আমরা টিএসসিতে ছেলেদের নামাজের স্থানের সামনের খালি জায়গায় পার্টিশনসহ পর্দার ব্যবস্থা করে নারী শিক্ষার্থীদের নামাজের স্থানের ব্যবস্থা করা যাবে বলে প্রস্তাবনা দিয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
