বৈশাখ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। নিরাপত্তার নামে উৎসব সংকোচনকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি। এতে জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বিঘ্নিত হয়। সময় বেঁধে দিয়ে মৌলবাদী শক্তিকে আরো উৎসাহিত করা হবে। উৎসবকে ঘিরে জঙ্গি তৎপরতার কোনো তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে নেই।’
বুধবার সন্ধ্যায় পহেলা বৈশাখ ও মঙ্গল শোভাযাত্রার সার্বিক বিষয়ে চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বৈশাখ উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভুইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ আরও বলেন, ‘বৈশাখ উদযাপনের নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ কমিশনারের বক্তব্যের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে। একজন সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে উৎসবের সংকোচন প্রত্যাখ্যান করি। আমাদের পক্ষে এটা গ্রহণ করা সম্ভব না। তবে রমজানের কারণে হয়তো বিকেলের অনুষ্ঠান একটু এগিয়ে নেওয়া হতে পারে। কিন্তু কেউ ঢুকতে পারবে না, এটা বলা ঠিক না। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করব, আমাদের নাগরিক সমাজকে যারা এখানে আসতে চায়, তাদেরকে নিরাপত্তা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আয়োজনটা এগিয়ে নিতে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জনসমাগম করা যাবে। আমরা চাইব যারা উৎসবে অংশ নিতে আসবেন তারা নিজ দায়িত্বে অনুষ্ঠান শেষ করে নিরাপদে চলে যাবেন। এটা আমরা প্রত্যাশা করব।’
এর আগে, বিকেল ৪টায় উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বর্ষবরণের পোস্টার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। প্রদর্শনীতে বর্ষবরণ-১৪২৯ উপলক্ষে চারুকলার শিক্ষার্থীদের করা নকশা প্রদর্শন করা হয়। অন্যদিকে চারুকলায় চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে শোভাযাত্রায় প্রদর্শনীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বড় আকৃতির টেপা পুতুল, ঘোড়া, মাছসহ লোকসংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গ। ছোট পাখি, মুখোশ, ফুল, পেপার মাস্ক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা। সকাল ৯টা থেকে রাজু ভাস্কর্য থেকে স্মৃতি চিরন্তন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এবারের শোভাযাত্রা। মেট্রো রেলের কাজের কারণে রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় এবার চারুকলা থেকে শুরু হচ্ছে না শোভাযাত্রা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক