সাভারে চলন্ত বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীর জামার পেছনের কিছু অংশ কেটে দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাঈনুল ইসলাম। এর আগে বেলা ১১টার দিকে সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
আটক ব্যক্তির নাম হারুন-অর-রশীদ (৫৩)। তিনি গাজীপুর জেলার কাপাশিয়া থানার রায়েদ এলাকার মৃত হাশেম আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী। আমার ফুফাতো বোন একই বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন এমবিএতে পড়াশোনা করেন। আজ সকালে ফুফুর বাসায় আজিমপুর যেতে দুজনে প্রান্তিক ফটক থেকে বাসে উঠি। হেমায়েতপুরের কাছাকাছি পৌঁছালে পেছন থেকে কিছু একটা স্পর্শের অনুভূতি পাই। প্রথমে ভেবেছি হয়তো কেউ পেছন থেকে আমার সিটের পেছনের দিকে পা তুলে বসেছে। পরে পুনরায় একই ঘটনা ঘটলে আমি হাত দিয়ে দেখি আমার জামার পেছনের নিচের দিকে বেশ কিছু অংশ কাটা। আমার ফুফাতো বোনেরও একইভাবে জামা কেটে দেওয়া হয়েছে। পেছনের সিটে বসা লোকটি সিট থেকে উঠে দ্রুত বাস থেকে নেমে যেতে চাইলে আমার চিৎকারে অন্যরা তাকে ধরে ফেলেন।
ওসি কাজী মাঈনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় আটক ব্যক্তিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আগামীকাল ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ