সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজকর্ম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক কে এম রবিউল করিম দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেন। তবে ওই শিক্ষককে আবার স্বপদে ফেরাতে শনিবার বিকেল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।
সমাজকর্ম বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তানজিন ইসলাম জানান, সমাজকর্মের সভাপতি অধ্যাপক রবিউল করিম তিনি প্রায় সাত মাস আগে বিভাগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি দায়িত্ব ভালোভাবেই পালন করছেন। বিভাগের উন্নয়নে উনার সাত মাসের অবদান অনস্বীকার্য। তার শারীরিক অসুস্থতা আছে। ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। তবুও তিনি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তিনি আরও বলেন, বিভাগের অভ্যন্তরীণ বিষয় আমরা কিছু জানি না। কিন্তু তিনি হঠাৎ সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা নেন। আমাদের ধারণা তিনি শুধু অসুস্থতার জন্য সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেননি। বিভাগের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। আমরা তার ইস্তফার কারণ হিসেবে কিছু জানতে চাই না। আমরা বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থী আমরা উনাকে স্বপদে ফিরে চাই। আর সে জন্যই আজকে আমাদের এই মানববন্ধন।
একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তাজমিন আক্তার বলেন, আমাদের বিভাগের সভাপতি গত দুদিন আগে শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা নিয়েছেন, এমনটা জানতে পারি ফেসবুকের মাধ্যমে। হঠাৎ তিনি এমন সিদ্ধান্ত কেন নিলেন, আমরা স্যারদের সাথে কথা বলি উনারাও কিছু জানেন না বলেন।
তিনি আরও বলেন, স্যার শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি হয়তো এ কারণেই ইস্তফা দেন। কিন্তু পরে জানতে পারি শুধু শারীরিক অসুস্থতা নয়, এর ভেতরে অনেক কারণ আছে। তো আমরা এতো কিছু জানতে চাই না। তিনি আমাদের সভাপতি ছিলেন, থাকবেন, এটাই চাই।
বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মো. ইমাজ উদ্দিন বলেন, আমি আজকে জানতে পারি আমার বিভাগের সভাপতি সে তার দায়িত্ব থেকে ইস্তফা নিয়েছেন। কি কারণে সে পদত্যাগ করলো তা আমরা জানি না। হঠাৎ করেই এই সিদ্ধান্ত সে নিয়েছে। তবে আমি যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি যাতে এখনি পদত্যাগপত্র গৃহীত না করে। আমরা তাকে বোঝাবো তার দায়িত্বে যেন সে থাকে। আমরা এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই সে তার দায়িত্বে থাকুক। এতে বিভাগের উন্নতি হবে।
এ বিষয়ে সমাজকর্ম বিভাগের সম্প্রতি পদত্যাগকৃত সভাপতি অধ্যাপক কে এম রবিউল করিম ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। কথা বলার পর্যায় নেই।
বিডি প্রতিদিন/এমআই