দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) চারটি হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়াসহ দু’দফা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১২জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতরা দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ডরমেটরি-২ হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রথমে সংঘর্ষ বাঁধলেও পরে জড়িয়ে পড়ে শেখ রাসেল ও তাজউদ্দিন আহমদ হলের শিক্ষার্থীরাও। এ ঘটনায় ইট-পাটকেলের আঘাতে হাবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ রাসেল ও ডরমেটরি-২ হল ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এঘটনায় আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়ে দু’দফায় থেমে থেমে চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, দিনাজপুর সদর ইউএনওসহ পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে ক্যাম্পাসের বিশেষ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে এ ঘটনার কারণ সম্পর্কে কেউ কিছুই বলছেন না।
জানা যায়, পূর্বের কোনো ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরি-২ হলের ১৯ব্যাচের শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী মারধর করে। এতে ওই শিক্ষার্থী আহত হলে তাকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর ওই শিক্ষার্থীরা শেখ রাসেল হলে আশ্রয় নেয়। এসময় ডরমেটরি-২ হলের শিক্ষার্থীরা শেখ রাসেল হলে গেলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের থামায়। মীমাংসা শেষের দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের একজন শিক্ষার্থী ডরমেটরি-২ এর সামনে এলে হলের শিক্ষার্থীরা তাকে চরথাপ্পড় দেয়। পরে শেখ রাসেল হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীরা ডরমেটরি-২ আবাসিক হলের ভেতরে প্রবেশ করে লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া দেয় এবং ভাঙচুর চালায়। পরে ডরমেটরি-২ ও তাজউদ্দিন আহমদ হলের শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হলে ভাঙচুর চালায়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে। পরে তারা হল থেকে বেরিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে হাবিপ্রবির রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার জানান, বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় একটি ৫সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। হাবিপ্রবির ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদারকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসে এই কমিটিকে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল