লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কলেজের তহবিল তছরূপসহ নানা অনিয়মের কোনও প্রমাণ পায়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)। গত এপ্রিলে এ কলেজ সরেজমিন পরিদর্শন করে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
ডিআইএ’র শিক্ষা পরিদর্শক ড. এনামুল হক ও সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক আসমা আক্তার কলেজ পরিদর্শন করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেন।
এর আগে কলেজ সরকারিকরণের নিমিত্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৫৫ জন শিক্ষক নিয়োগ, একই সময়ে দুই খাত থেকে বেতন-ভাতা গ্রহণ, কলেজের বাসায় থাকা অবস্থায় বাসা ভাড়া ভাতা গ্রহণ, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার সম্মানী খাতে প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ, দুর্নীতির মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে নিজের আয়করের টাকা কলেজ তহবিল থেকে পরিশোধ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর।
প্রতিবেদনে ডিআইএ বলছে, বর্তমান অধ্যক্ষ যোগদানের পর বর্তমান সময় পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত ও সরকারের বিধি মোতাবেক বেতন-ভাতা নিয়েছেন। এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়নি। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক গত ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বেতন-ভাতা কলেজ থেকে প্রাপ্য ছিলেন। কিন্তু তিনি কলেজ থেকে না নিয়ে সরকারের তহবিল থেকে নিয়েছিলেন। পরে গৃহীত বেতন ভাতা বাবদ ১১ লাখ ৪৬১ টাকা সরকারের কোষাগারে ফেরত দিয়ে সমন্বয় করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত