চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নিয়োগ বাণিজ্যে টাকা লেনদেনের অভিযোগে এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। উপাচার্যের নির্বাহী ক্ষমতাবলে এটি করা হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের অফিসার সেলের গ্রন্থাগার সহকারী (গ্রেড-২) হিসেবে কর্মরত। তার নাম মানিক চন্দ্র দাস।
মানিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া থানায় অবস্থিত। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিন আক্তার বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর উপাচার্যের নির্বাহী ক্ষমতাবলে তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর যদি অভিযোগ সত্য হয় তাহলে তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।
গত ৬ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর এসএম মনিরুল হাসান বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এছাড়াও চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
গত শুক্রবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কর্মচারী নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের দুইটি অডিও ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। এতে তিনজন নিয়োগপ্রার্থীর কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের নিম্নমান সহকারী মানিক চন্দ্র দাস ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে ৩১ মে ও পহেলা জুন দুইটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে নিম্নমান সহকারী ও অফিস সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তিনজনের থেকে টাকা আদায় করেন অভিযুক্ত মানিক।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর