ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, পঞ্চাশ লাখ নেতাকর্মীর সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সেই সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিঃস্বার্থ কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু ওই জামায়াত শিবিরের পেতাত্মাদের কাছ থেকে শুনতে হয়, ছাত্রলীগ নাকি কমিটি বাণিজ্য করে। এ ধরনের যারা মিথ্যা অপবাদ যারা দেয়, তাদের আমরা বলতে চাই। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনোই পদ বাণিজ্য করে না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে যারা তাদের মধ্য থেকেই নেতৃত্ব আনে।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার টেপিরবাড়ির ছাতির বাজারে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রলীগ সভাপতি জয় বলেন, বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন এখন পর্যন্ত তার গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম এবং সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বলেছিলেন, বাঙ্গালীর ইতিহাস, ছাত্রলীগের ইতিহাস। সেই ছাত্রলীগ বাংলাদেশের প্রতিটি অর্জনে ভুমিকা রেখেছে, অনেকের রক্তে রঞ্চিত হয়েছে রাজপথ, আমরা তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। কারণ তাদের সেই রক্তে রঞ্চিত ইতিহাসের কারণে আজকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গৌরবের জায়গায়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রশংসার জায়গায়।

মানবিক ছাত্রলীগ সম্পর্কে তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলার সময় এই তৃণমুলের নেতাকর্মীদের কারণে ছাত্রলীগ প্রশংসা কুড়িয়েছে। আজকে কেন্দ্র থেকে তৃণমুল পর্যন্ত প্রত্যেকটি নেতাকর্মীরা জাতির দুর্যোগে, দুর্বিপাকে যারা নিজের জীবনের কথা চিন্তা না করে এদেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন, সেই ছাত্রনেতা সেই নেতাকর্মীদের কৃতজ্ঞতার সাথে বারবার স্মরণ করবো। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যতদিন থাকবে, ততদিন এদেশের মানুষ ছাত্রলীগকে স্মরণ করবে।

বিতর্কিত কর্মকাণ্ড বিষয়ে সভাপতি বলেন, আজকে ছাত্রলীগের এত অর্জন এ অর্জনের পাশেও আামরা দেখেছি কিছু কর্মকান্ডের কারণে আমাদের বারবার বিতর্কিত হতে হয়। আমাদের ব্যক্তি স্বার্থের কারণে আমরা বারবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করার যে চেষ্টা করি, সে চেষ্টা কখনো সফল হবে না। আজকে ছাত্রলীগকে যারা ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করতে চায় যারা ছাত্রলীগকে তারা জাতির পিতার আদর্শকে ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়। আজকে ছাত্রলীগের এই কর্মী বাহিনী এগিয়ে যাবে, আজকে জননেত্রী, দেশরতœ শেখ হাসিনা যখন জাতিসংঘের প্রোগ্রামে উপস্থিত সেই সময় আমরা দেখেছি ছাত্রলীগকে নিয়ে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে এই ষড়যেন্ত্রর কারণে আপনারা তৃণমুলের নেতাকর্মীরা দ্বিধাগ্রস্ত হচ্ছেন। আপনাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ছাত্রলীগের গুটি কয়েক নেতা আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে যারা সংগঠনকে বিতর্কিত করতে চায় তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে। সেই ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুযোগ ছাত্রলীগে হবে না।

ছাত্রদলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিল জাতির পিতা কিন্তু অপরপক্ষে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে এখন পর্যন্ত কোন গঠনতন্ত্র তৈরি করতে পারেনি, যেই ছাত্র সংগঠনে কোন ছাত্বের বালাই নেই, যে সংগঠনে এখন পর্যন্ত অছাত্রদের নিয়ে নেতৃত্ব দেয়া হয়, যেই সংগঠনে বাবাদের দ্বারা নেতৃত্ব দেয়া হয় সেই সংগঠনের কেউ যদি কোন ষড়যন্ত্র করে সেই ষড়যন্ত্র ছাত্রলীগ মেনে নিবো না।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশর প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় আছে বলে তিনি বলেন, শিক্ষা সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করতে বহিরাগতদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এনে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছে ছাত্রদল। আজকে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওই ছাত্রদল কোন অন্যায় করার চেষ্টা করেছে  শিক্ষার্থীরা কিন্ত তার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিয়েছে। আজকে শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে আমরা বলতে চাই, ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংগঠন। শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে তাদের দাবি দাওয়ায় আমরা কাজ করে যাবো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের গুন্ডারা যদি গুন্ডামি করতে আসে তাদেরকে শিক্ষার্থীরা কোন ভাবেই মেনে নিবে না।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ