রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যতিক্রমধর্মী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ড কনজারভেশন ক্লাবের উদ্যোগে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই উপলক্ষে গণসচেতনতায় শোভাযাত্রা নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করা হয়।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, ছোট ছোট স্টলে বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম পাখি সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যেখানে রয়েছে- তুর্কি বাজ, টিয়া, লক্ষী পেঁচা, হুতুম পেঁচা, গরিয়াল মাছরাঙা, চোখাচোখি, সাতভাই, পানকৌড়ি, জল কাক, পাতি তিলি হাঁস, ডোরা কাঠবিড়ালি, কোয়েল, পাঁতি কাক, নিশি বক, বালি হাঁস প্রভৃতি। এসব পাখি রাসায়নিক দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়।
এছাড়া কিছু স্টলে ধলাকোমর মুনিয়া, ইউরেশিয় চামচ ঠুঁটি, বুটপা ঈগল, রঙিলা চ্যাগা, খয়রা মাথার সুঁইচোরা, সাদাগলা মানিকজোড়, সবুজ চাপাখি, তিলা লাল পা, ছোট ডুবুরী, ডাহুক, বামুন শালিক, জল ময়ূর, কালোপিঠ গাংচিল, বাদামী ঝিল্লি, পালাসির গাংচিল, সাইবেরিয় শিলাফিদ্দা, খুড়ুলে পেঁচা, কালোমাথা কাস্তেচোরা ও উদয়ী গয়ারসহ আরো কিছু দুর্লভ পাখির ছবি প্রদর্শিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে ক্লাবের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান তাসিব বলেন, অনেকের ধারণা পাখি মেলায় আসলে আমরা খাঁচার বন্দি বা কাছ থেকে জীবন্ত পাখি দেখতে পাবো। ব্যাপারটা সে রকম নয়। পাখিরা মুক্ত, তারা সবসময় মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়াবে। অকারণে পাখি নিধন বন্ধ ও তাদের সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এই মেলা। এই মেলায় সবাই বিভিন্ন পাখিদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি তাদের জীবন প্রণালি সম্পর্কে জানতে পারবে। ফলে পাখির প্রতি মমত্ববোধ ও সংরক্ষণে সচেতনতা বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ‘পাখি প্রকৃতির সৌন্দর্য, আনন্দের সঙ্গী-এদের বাঁচতে দিন’- প্রতিপাদ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় শিশুদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন স্কুলের নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই