স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ থেমেছে। তবে অনেক শিক্ষার্থী বিক্ষিপ্তভাবে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে।
রাত দেড়টার দিকেও কিছু শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনের রেলক্রসিংয়ে অবস্থান করছিল। তাদের বক্তব্য, পুলিশ তাদের ওপর হামলা করেছে। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান থেকে সরবে না।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটক এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। স্থানীয় অনেকেও আহত হয়েছেন।
দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা- ধাওয়ার একপর্যায়ে বিনোদপুর বাজারের বেশ কিছু দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকের পুলিশ বক্সে।
রাত সাড়ে বারোটার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে রেললাইনে অবস্থান নিলে ঢাকাগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস রাজশাহী স্টেশন ছাড়তে পারেনি। অপরদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী একটি মেইল ট্রেন আবদুলপুর রেলস্টেশনে অপেক্ষায় ছিল।
রাজশাহী রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম রাত একটার দিকে গণমাধ্যমে বলেন, রেললাইনের ওপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছে এমন খবরে রাতে ঢাকাগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ছাড়া হয়নি। এ ছাড়া ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন পথে অপেক্ষা করছে।
রাত একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক পুরনজিত মহলদার বলেন, সব শিক্ষার্থী এখনও হলে ফেরেনি। তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলেছ। তবে সংঘর্ষ আর নেই। শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে হলে ফিরবে। চারুকলার সামনে রেললাইনের ওপর অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে আছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল