২৫ মার্চ, ২০২৩ ০৯:৪২

'পাঁচ দশকেও গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়া হতাশাব্যাঞ্জক'

রাবি প্রতিনিধি

'পাঁচ দশকেও গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়া হতাশাব্যাঞ্জক'

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় পাঁচ দশকেও গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়া হতাশাব্যাঞ্জক বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ওয়ান বাংলাদেশের আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় ওয়ান বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রশিদুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শাহ আজম শান্তনু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী শম্পা।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, গণহত্যাকে স্বীকৃতি না দেয়ার পিছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরে ষড়যন্ত্রের ফলে তৈরি হয়েছে নানা বিভাজন। যার নেতৃত্বে রয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি। এছাড়া বিভিন্ন তথ্যসূত্রের মাধ্যমে বাঙালির ওপর হানাদার বাহিনীর গণহত্যার চিত্র তুলে ধরেন তিনি। 

তিনি আরো বলেন, ‌‘পাক হানাদারেরা এদেশি দোসরদের সহযোগিতায় ত্রিশ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে। এই নির্যাতন নাৎসি বাহিনীর নির্মমতাকেও ছাপিয়ে গেছে। এটা কী ক্ষমার যোগ্য প্রশ্ন করেন তিনি। ১৯৭১ সালে রণাঙ্গণ থেকে সংগৃত ৭৬টি চিঠির সংকলনে একাত্তরের চিঠি বইটা বের করা হয়। চিঠিতে মাকে উদ্দেশ্য করে লেখা এক মুক্তিযোদ্ধার আর্তনাদ ছিল দেশের জন্য শহীদ হয়ে শহীদের মর্যাদা লাভ করা। এমনকি ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং এর উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘২৫ মার্চ রাতে পাক বাহিনী বাঙালির উপর যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেটা সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংসতম গণহত্যা স্বীকৃতি পাওয়ার দাবি রাখে। বিভিন্নভাবে এই গণহত্যার প্রমাণ পেয়েও জাতিসংঘ দিবসটিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না দেয়া চরম বৈষম্য ও ব্যর্থতা বলে মনে করেন তিনি। তাই দিবসটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির লাভে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় এই হত্যাযজ্ঞকে ইতিহাসের নিকৃষ্টতর অ্যাখ্যা দিয়ে অন্যান্য বক্তারাও দিবসটিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানান ওয়ান বাংলাদেশ সভাপতি অধ্যাপক রশিদুল হাসান।

এসময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যদ্বয় ড. সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর