জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক ছাত্রীদের তোপের মুখে পড়ে হলের সিট নবায়ন ফি স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুমের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার পরে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা সকালে হলের প্রভোস্ট বরাবর নবায়ন ফি কমানোর দাবিতে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য গেলে তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। তোমরা বেশি বাড়াবাড়ি করছো। এ ৫ হাজার ২৬৫ টাকা থেকে হলের কর্মচারী, পরিচ্ছন্নকর্মী, দারোয়ান, ইলেকট্রিশিয়ানদের বেতন দেয়া হয়। এরপরে আমরা আবেদনপত্রটি নিয়ে উপাচার্য বরাবর দিতে গেলে তখন পুনরায় প্রভোস্ট ম্যাম বলেন তোমরা কেন এখানে আসছো, এ বলে আমাদের সঙ্গে উদ্ধ্যত ভাষায় কথায় বলেন।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এসময় কোনো উপায় না পেয়ে উপাচার্যের রুমের সামনে ছাত্রীরা বসে পড়ে। এরপর প্রায় দেড় ঘণ্টাখানিক পরে আবেদনপত্রে গণস্বাক্ষর দিয়ে উপাচার্য বরাবর প্রদান করা হয়। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপাচার্যকে দুটি দাবি জানানো হয়, সিটের নবায়ন ফি এক হাজার ৫০০ টাকা করে নোটিশ প্রদান করতে এবং ঈদের সময় হল বন্ধ না করার জন্য বলা হয়েছে।
এ দাবির পাশাপাশি হলের একাধিক ছাত্রীকে 'হল প্রভোস্ট শিক্ষার্থী বান্ধব না ' এমন স্লোগান দিতে দেখা যায় এবং হলের যাবতীয় সমস্যার বিষয়ে উপাচার্যকে লিখিতভাবে তাদের দাবি জানান।
এ-সময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড মো. ইমদাদুল হক বলেন, ঈদের পরে নবায়ন ফি নেওয়া হবে। আপাতত কাউকে সিটের নবায়ন ফি জমা দেওয়া লাগবে না। পরবর্তীতে আমরা হলের প্রভোস্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষসহ বসে সিদ্ধান্ত নিব কতটুকু ফি কমানো যায়।
এ বিষয়ে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা সরকার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা মেয়েদেরকে বলেছি বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দিব এখানে আমাদের একার পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত হঠাৎ নেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তারা আমাদের কথা না শুনে চলে এসেছে। ছাত্রীরা যেই অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়।
তিনি আরও বলেন, আপাতত সিটের নবায়ন ফি স্থগিত করা হয়েছে। ঈদের সময় হল খোলা থাকবে উপাচার্য বলে দিয়েছেন। যারা হলে থাকবে নিজ দায়িত্বে থাকবে কিন্তু এসময় হলের ডাইনিং এবং কিছু সেবা বন্ধ থাকবে। সেহেতু বেশিরভাগ লোকই ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল