.jpg)
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদশের “চাইল্ড ব্রাইড টু বুকওয়ার্ম” প্রকল্পের শিখন বিষয়ক আলোচনা সভা সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রকল্পটির সমাপনী সমীক্ষার ফলাফল ও প্রকল্পের শিখন সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অবহিত করা এবং সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে তাদের কার্যক্রমে এই প্রকল্পের শিখন ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা।
প্রকল্পটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তাই এর কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সহযোগী সংস্থাগুলোকে এই সভায় স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং তাদের উল্লেখযোগ্য অবদান সম্পর্কে জানানো হয়। এছাড়া প্রকল্পটি স্কুল এবং কমিউনিটিতে তাদের নিয়মিত কার্যক্রম অনুশীলন করেছে এবং তা এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকার এবং প্রাসঙ্গিক সহযোগী সংস্থাগুলোর সঙ্গে একটি অ্যাডভোকেটরের ভূমিকা পালন করছে, যা তুলে ধরা হয় এই সভায়।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) তার বক্তব্যে দৃঢ়ভাবে বলেন যে, “শিশু সুরক্ষা কমিটি সব স্কুলগুলোতে থাকার উদ্যোগ নেয়া হবে, এছাড়া আমাদের স্কুলগুলোতে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটির কার্যক্রম আরো ত্বরান্বিত করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে কবিতা বোস, কান্ট্রি ডিরেক্টর, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ; বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী, পরিচালক (সিএলজিই ও অ্যাডমিন) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বাংলাদেশ, প্রফেসর মুহাম্মদ বেলাল হোসেন, পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বাংলাদেশ; প্রফেসর ড. একিউএম শফিউল আজম, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ও উত্তর অঞ্চলের প্রধান, আশিক বিল্লাহ।
অনুষ্ঠানটিতে, সমাপনী সমীক্ষার ফলাফল উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চেয়ারপারসন আরডিসি এবং প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি উপস্থাপন করেন ফারজানা বারী, প্রজেক্ট ম্যানেজার, চাইল্ড ব্রাইড টু বুকওয়ার্ম প্রকল্প।
পরবর্তীতে, কিশোরী- যুব ও প্রধান শিক্ষকদের অংশগ্রহণে "তৃণমূলের কণ্ঠস্বর" শীর্ষক একটি মুক্ত আলোচনার পর্ব অনুষ্ঠিত হয় যেখানে তারা ফুটিয়ে তোলেন যে, এই প্রকল্পটি শিক্ষার্থীদের সহ-পাঠ্য ক্রমিক ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে নতুন দিগন্তের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার মাধ্যমে তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণ সৃষ্টি ও তাদের অন্তর্দৃষ্টি খুলে দিয়েছে যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি সৃজনশীল ও দায়িত্ববান হয়ে উঠেছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
