১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৯:০৩

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ ঢাবি শিক্ষক সমিতির

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ ঢাবি শিক্ষক সমিতির

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি। 

রবিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ মানববন্ধন করে সংগঠনটি। 

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, গাজায় মানুষকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হচ্ছে, যুদ্ধবিরতির পরও তারা বিরতিতে আসেনি। প্রথমে তারা বলেছিল তারা যুদ্ধ বিরতিতে আসবে কিন্তু পরে তারা আসেনি। এই পর্যন্ত যত মানুষ হত্যা হয়েছে তার মধ্যে ৭০ শতাংশই হলো নারী আর শিশু। 

ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, গাজায় ইতিমধ্যে প্রায় বাইশ হাজারের মত নারী এবং চার হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এই যুদ্ধ তাদের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন অনেকেই মানবাধিকারের কথা বলে। আমাদের একটা প্রশ্ন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান করেছিল, তাদেরকে যারা মদদ দিয়েছিলো তখন মানবাধিকার কোথায় ছিলো? 

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি নিপীড়িত হচ্ছে গাজার বিশ লক্ষ মানুষ। ইতিমধ্যে বিশ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে যাদের বেশির ভাগই নারী এবং শিশু। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে গাজার এক ইঞ্চি জায়গায়ও ফিলিস্তিনিদের জন্য নিরাপদ না। কাজেই এই দমন, নিপীড়ন, শোষণ, নির্যাতন ও ঔপনিবেশিক শাসন বন্ধ করতে হবে। এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ল্যাটিন আমেরিকা থেকে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মনে করি ফিলিস্তিনকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে, শোষণ নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে।

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুস ছামাদ বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের ড. ফাজরীন হুদা, সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ ড. আব্দুর রহিম শহীদ, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সিকদার মনোয়ার মোর্শেদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর