খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের এক দাবি ও আমরণ অনশন কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সব ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে আজ বুধবার দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও খুলনায় প্রবেশপথ ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক নগরীর জিরো পয়েন্ট ব্লকেড কর্মসূচি করবে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার তারা এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, কুয়েটের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। কুয়েটের ওপর চাপিয়ে দেওয়া দলীয়করণ প্রক্রিয়া সারা দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। যারা কুয়েটের ভিসিকে ঘিরে ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। কুয়েটের উপাচার্যকে পদত্যাগ ও সুষ্ঠু বিচার করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়। শিক্ষার্থীদের দাবি, ওই মিছিলে ছাত্রদল বহিরাগতদের নিয়ে হামলা করে। পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ক্লাস বর্জন করে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ, ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ ছয় দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে ছয় দাবি লিখিতভাবে জমা দেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসের সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য ক্যাম্পাসের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করে ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কুয়েট শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্রদল ও বহিরাগতরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালেও উপাচার্য নিরাপত্তা দিতে পারেননি। উল্টো ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের বাইরের একজন আদালতে মামলা করেছে। এ ছাড়া ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তারা উপাচার্যকে অপসারণের দাবি জানালেও কোনও ফল পাননি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ