কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করা তিনটি শিক্ষাবর্ষের ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে ‘ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড’। এই অ্যাওয়ার্ড পেয়ে খুশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মতে, এতে অন্য শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হয়ে আলোকিত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখবে। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এই সম্মাননা তাদের আরও এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী।
আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী।
আনুষ্ঠানিকভাবে স্নাতক (সম্মান) শেষ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মোট ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থী ফারজানা কনা ও তোফাজ্জাল হোসেন বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমে এই সাফল্য এসেছে। এই সম্মাননা আমাদের সামনে পথ চলতে আরও উৎসাহিত করবে।
অভিভাবক আবু সাইদ খান ও নাজির আলম বলেন, সন্তানের কৃতিত্ব সব বাবার কাছেই আনন্দের। তারা সফল মানুষ হোক সেই কামনা করি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, আমরা লেখাপড়া শিখি বা না শিখি, আমাদের প্রথমে ভালো মানুষ হতে হবে। আত্মতুষ্টি নিয়ে বসে থাকলে চলবে না, পথ এখনো বাকি, আরও এগিয়ে যেতে হবে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আসলে বৃত্তিটা শুধু অনুপ্রেরণা না, এটা হলো ভবিষ্যতে সত্য ও ন্যায়ের সাথে জীবন পরিচালনা করার পথ নির্দেশক।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, শিক্ষাজীবনে তোমরা সফল হয়েছো, এটার প্রতিফলন যাতে তোমাদের কর্মজীবনেও ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ