বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার চার্জ গঠন আগামী ৩০ জুন র্নিধারণ করা হয়েছে। সোমবার সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালত অভিযোগ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করেন।
একই সাথে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি মফুর আলী।
তিনি বলেন, অভিযোগ গঠনের তারিখ ধার্যের মধ্য দিয়ে অনন্ত হত্যা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
এই মামালায় যে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল, তারা হচ্ছেন- সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ফালজুড় গ্রামের জমশেদ আলীর ছেলে আবুল হোসেন ওরফে আবুল হোসাইন (২৫), একই উপজেলার খালপাড় তালবাড়ি গ্রামের আবদুর রবের ছেলে ফয়সাল আহমদ (২৭), সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্র নগর বাগলী গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে হারুনুর রশিদ (২৫), কানাইঘাট থানার পূর্ব ফালজুড় গ্রামের হাফিজ মঈন উদ্দিনের ছেলে মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহী ওরফে এবি মান্নান ইয়াহিয়া ওরফে ইবনে মঈন (২৪), ফালজুড় গ্রামের জোয়াদুর রহমানের ছেলে আবুল খায়ের রশিদ আহমদ (২৪) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কালীশ্রী পাড়ার ফেরদৌস-উর-রহমানের ছেলে শফিউর রহমান ফারাবী (৩০)। তন্মধ্যে মান্নান রাহী, রশিদ আহমদ ও ফারাবী কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
এর আগে গত ১৭ সালের ২৮ আগস্ট পাঁচজনকে আসামি করে এবং ১১ জনকে অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে অনন্ত হত্যা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়। চার্জশিটের উপর গত ১৮ অক্টোবর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত পুনরায় তদন্ত শেষে সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এদিকে, মামলা থেকে যে ১০ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, তারা হচ্ছেন- সিলেটের স্থানীয় দৈনিকের আলোকচিত্রী ইদ্রিছ আলী (২৪), সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার পূর্ব ফালজুড় গ্রামের হাফিজ মঈন উদ্দিনের ছেলে মোহাইমিন নোমান (১৯), লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানার রমনপুর জমাদার বাড়ির মোহাম্মদ আলীর ছেলে সাদেক আলী মিঠু (২৮), যশোরের কোতোয়ালী থানার এসএমএ করিম রোডের এএফ রশিদুর রহমানের ছেলে তৌহিদুর রহমান গামা (৫৯), রাজধানীর মিরপুরের জব্বার মল্লিকের ছেলে আমিনুল মল্লিক (৩৫), যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ কাজলার মইনউদ্দিনের ছেলে জাকিরুল্লাহ হাসান (১৯), পল্লবীর বাউনিয়াবাদ কলোনীর তাজুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম আরফান মুসফিক (২০), বাগেরহাটের গোয়াখালি গ্রামের রেজাউল কবির বিশ্বাসের ছেলে জুলহাস বিশ্বাস (২৪), নওগাঁর মহাদেবপুরের ডা. আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে জাফরান হাসান (২০) এবং বরগুনার হেউলিবুনিয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে আবুল বাশার (৪০)।
আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী তদন্তে এ ১০ জনের বিরুদ্ধে 'অপরাধ সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি' বলে উল্লেখ করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট মহানগরীর সুবিদবাজারে অনন্ত বিজয় দাশসে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট নগরীর বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। প্রথমে পুলিশ মামলাটির তদন্ত করলেও পরে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/১৪ মে ২০১৮/আরাফাত