দুদকের করা প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সওজ কর্মকর্তাসহ সাতজন জামিন পেয়েছেন। আজ সোমবার সিলেট মহানগর দায়রা জজ মফিজুর রহমান তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাহফুজুর রহমান জানান, দুদকের মামলায় সওজ কর্মকর্তাসহ সাতজন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। তাদের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ সোমবার তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে গত ২৬ মার্চ সিলেট কোতোয়ালী থানায় দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমদ পাটোয়ারি সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন সড়ক উপ-বিভাগ সিলেটের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম আহমেদ, সড়ক বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন, কুড়িগ্রাম সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল বরকত মো. খুরশিদ আলম, সড়ক গবেষণাগারের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. তানভীর আহমদ, সড়ক পরিকল্পনার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মনিরুল ইসলাম, তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী চন্দন কুমার বসাক, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ইফতেখার কবির ও ঠিকাদার লুৎফুর রহমান। ঘটনার সময় এরা সিলেটে সওজ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তন্মধ্যে সাতজন আজ জামিন পেয়েছেন। মনিরুল ইসলাম অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
নগরীর কোতোয়ালী থানার ওসি গৌছুল হোসেন জানান, মামলার বাদীর অভিযোগ, ২০১৬ সালে আসামিরা সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের সংস্কার প্রকল্পে পরস্পরের যোগসাজশে এক কোটি ১৩ লাখ ২৩ হাজার ৪১৬ টাকার অসম্পূর্ণ কাজকে সম্পূর্ণ দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন। দুদকের সরেজমিন তদন্তে তা বেরিয়ে আসায় মামলা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার