বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে ইলিশের বাজার জমে উঠেছে। একদিকে চাহিদা বৃদ্ধি ও অন্যদিকে ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকায় বাজারগুলোতে আকাশছোঁয়া দাম। দাম আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।
সিলেটের লালবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ইলিশ বর্তমানে ১২০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জোড়া হিসাবেও বিক্রি হতেও দেখা গেছে। প্রতি জোড়ার দাম ২ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা। আকার যত বড়, ইলিশের দামও তত বেশি।
৭০০ গ্রাম ওজনের এক হালি তাজা ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের হালি ৭-৮ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। অবশ্য দরদাম করলে কিছুটা কমে। ব্যবসায়ীরা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে দাম দ্বিগুণ।
বিক্রেতারা বলেন, পহেলা বৈশাখে ইলিশের চাহিদা এমনিতেই বেড়ে যায়। আবার এ সময় মাছ আহরণও বন্ধ থাকে। অনেকে ইলিশ হিমাগারে মজুদ রাখেন এবং বৈশাখে তারা বেশ চড়া দামে বিক্রি করেন। যারা হিমাগারে মাছ রাখে দীর্ঘদিন থেকে তাদের ভাড়া গুণতে হয়। তাই মাছের দামও কিছুটা বেশি হয় ।
শেখঘাট এলাকার আব্দুল হাসিব (৩৮) বলেন, ইলিশের দাম এমনিতেই চড়া। বৈশাখ এলে যেনো বাজারে আগুন লাগে। এবারও তাই হচ্ছে। আগুন লাগতে শুরু করেছে। তবু বাচ্চা আর গিন্নীর মন রাখতে এক কেজি হলেও কিনতে তো হবেই।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা