‘প্রেমের প্রস্তাবে’ রাজি না হওয়ায় বখাটের ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হওয়া স্কুলছাত্রী মায়মুনা আক্তার সামিরার অবস্থা সংকটাপন্ন। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা সামিরা যমের সাথেই লড়ছে। তার শরীরে ২৫টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত যুবক জুয়েলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ওসমানী হাসপাতালে সামিরার সাথে থাকা তার চাচা মো. শামসুদ্দিন রবিবার সন্ধ্যায় জানান, গুরুতর আহত সামিরার জ্ঞান ফিরেনি। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। সামিরার মাথায় ১৪টি, ডান কানে ৫টি ও বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচে অন্তত ১০টি সেলাই দিয়েছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. মো. রাশেদুন্নবী খানের তত্ত্বাবধানে সামিরার চিকিৎসা চলছে।
এদিকে, সামিরাকে দেখতে রবিবার ওসমানী হাসপাতালে যান মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. শাহজালাল। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ী যুবকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন সামিরার পরিবারের সদস্যদেরকে।
প্রসঙ্গত, অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মায়মুনা আক্তার সামিরা মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ভূকশমিইল ইউনিয়নের মীরশংকর গ্রামের সরাফ উদ্দিনের মেয়ে। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে সামিরাকে উত্যক্ত করতেন একই গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে জুয়েল আহমদ (২০)। সামিরাকে প্রেমের প্রস্তাবও দেন তিনি। সামিরা যখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তেন, তখনও তাকে উত্যক্ত করতেন জুয়েল। ওই সময় সালিশে মুচলেকাও দিয়েছিলেন তিনি। তবে এরপরও বখাটেপনা থামেনি তার। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে স্কুল থেকে ফেরার পথে সামিরাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান জুয়েল। ওই সময় স্থানীয়রা জুয়েলকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। সামিরাকে প্রথমে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান জানান, জুয়েলকে আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন সামিরার মা। ওই মামলায় জুয়েলকে গ্রেফতার দেখিয়ে রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার