ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ২০১৭ সালের অক্টোবরে ৩১ শয্যা থেকে উন্নীত করে ৫০ শয্যা করা হয়। এই ২০ শয্যা বর্ধিত করতে সব মিলিয়ে ব্যয় হয় ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। বিশাল বাজেটের এই উন্নীতকরণে অবকাঠামোগতভাবে বদলে যায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
নতুন আধুনিক ভবন ও দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠে হাসপাতালটি। জরাজীর্ণতা থেকে বেরিয়ে চকচকে টাইলস শোভা পায় হাসপাতাল ভবনে। পরিসরও বড় হয়। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি! এখনও পর্যন্ত কার্যত ঐ ৩১ শয্যায়ই আছে এই হাসপাতালটি। আজ পর্যন্ত এখানে ৫০ শয্যা কার্যক্রম শুরু হয়নি। নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, বয়, নার্স ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ের সুফল পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। নতুন ভবনে জরুরি বিভাগ ছাড়া বাকি সেবা পুরাতন ভবনে। সরেজমিনে দেখা যায়, পুরাতন ভবনেও জায়গা সংকট থাকায় বিভিন্ন রুগীকে বারান্দায় সেবা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া রয়েছে নানা সমস্যা।
এসব ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শফিকুল আলম বলেন, আগের ৩১ শয্যাতেই সুইপার পর্যন্ত নেই! আর কি বলবো! পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই, ওয়ার্ড বয়ও নেই। একজন মাত্র ওয়ার্ডবয়। নেই প্রয়োজন সংখ্যক সেবিকা ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতি। ৫০ শয্যার সেবাদান কাজ শুরু হয়নি। এজন্য ডাক্তার, বয়, নার্স, যন্ত্রপাতি সবই লাগবে। এসবের জন্য লেখালেখি হচ্ছে, আমাদের চাহিদা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি দেখি কি হয়!
অন্যদিকে ৩১ শয্যায় ও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত সেবা। ওখানেও নেই কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অথচ ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, কুলাউড়া, মোগলাবাজার এলাকার রুগীরা আসেন এই হাসপাতালে সেবা নিতে। প্যাথলজিক্যাল পরিক্ষা নিরিক্ষা খুবই ন্যুনতম। এছাড়াও আয়াদের প্রসব করানোর ঝুঁকি নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা