করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন অমান্য করে প্রায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে সিলেটে যায় একটি ট্রেন। শনিবার ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে সিলেট রেল স্টেশনে গিয়ে পৌঁছে বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে। তবে সিলেট স্টেশনের ম্যানেজার খলিলুর রহমান দাবি করছেন, ট্রেনে কোনো যাত্রী ছিল না। স্টাফদের নগদ বেতন নিয়ে এটি সিলেটে এসেছে।
জানা গেছে, গত ২৪ মার্চ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়। পুরো সিলেট বিভাগও লকডাউন রয়েছে। এত কিছু ফাঁকি দিয়ে কিভাবে সিলেটে ট্রেনটি গেল এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে মানুষের মাঝে।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে করোনা আক্রান্ত এলাকা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা। সেখান থেকে যারা এসেছেন তাদের নিয়ে করোনার ঝুঁকি বাড়লো সিলেটে আরেক ধাপ। একসাথে এতো মানুষ বাহির থেকে সিলেটে আসায় তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সিলেটের মানুষ।
জানা গেছে, মোট ৪টি বগি নিয়ে সিলেটে যায় ট্রেনটি। ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার পথে বিভিন্ন জায়গায় যাত্রী উঠানামা করা হয়েছে। তবে সিলেট স্টেশন ম্যানেজার বলছেন, বগি এসেছে ২টি। পথিমধ্যে স্টাফদের বেতন প্রদানের জন্য থামানো হলেও কোন যাত্রী উঠানামা করানো হয়নি।
ম্যানেজার খলিলুর রহমান জানান, ট্রেনের স্টাফদের নগদ বেতন দেয়া হয়। একটি ইঞ্জিন ও দুইটি বগি নিয়ে একটি ট্রেন সিলেটে আসে। স্টাফদের নগদ বেতন নিয়ে সিলেটে এই ট্রেনটি আসে বলে জানান ম্যানেজার খলিল। তিনি দাবি করে বলেন, এতে কোন যাত্রী ছিল না। শুধু ২০-২২ জন রেলের স্টাফ ছিল। তারা কোথায় গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১২ জন দায়িত্ব পালন করতে গেছেন ভোলাগঞ্জ ও ছাতকে। আর বাকি ৪-৫ জন সিলেট ষ্টেশনে রয়েছেন বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক ডা. আনিছুর রহমান জানান, সিলেটের প্রশাসন ঘটনাস্থলে গেছে। আমি প্রশাসনের সাথে কথা বলে জেনেছি, ট্রেনটি অনুমতি নিয়ে আসেনি। আমরা তালিকা করে তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে নেয়ার ব্যবস্থা করছি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
