লকডাউনের মধ্যে সারাদেশে গণপরিবহন থাকলেও আজবকাণ্ড ঘটেছে সিলেটে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) রাতে পটুয়াখালী থেকে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে সিলেট এসেছে একটি যাত্রীবাহী বাস।
যাত্রীরা ধান কাটার জন্য সিলেট যাচ্ছেন বলে সাথে নিয়ে আসেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে পুলিশ তাদেরকে নিজ নিজ এলাকায় কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছে। লকডাউনের মধ্যে পটুয়াখালি থেকে বাসভর্তি যাত্রী আসা নিয়ে সিলেটের মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে পটুয়াখালী থেকে একটি পরিবহন বাসে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে সিলেট আসে। যাত্রীদের মধ্যে ১৪ জন সিলেটের ও ২৫ জন হবিগঞ্জ জেলার। রাত ৯টার দিকে বাসটি কদমতলী আসার পর খবর পেয়ে পুলিশ টার্মিনালে যায়। এর আগেই বাসটি সিলেটের যাত্রীদের ফেলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সিলেটের প্রবেশদ্বার শেরপুরে চৌকি বসিয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ যাত্রীসহ বাসটি আটক করে। পরে চালক পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যয়পত্র দেখালে বাসটি ছেড়ে দিয়ে যাত্রীদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
কলাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো. শহিদুল হক তার প্রত্যয়নপত্রে উল্ল্যেখ করেন, ওই ৩৯ যাত্রী সেখানকার তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। বর্তমানে তারা নিজ এলাকায় ধান কাটা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী। তাই তাদেরকে বাসে করে পাঠানো হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলায় এখনো কোন করোনা রোগী পাওয়া যায়নি বলেও ইউএনও তার প্রত্যয়পত্রে উল্লেখ করেন।
এদিকে, ওসমানীনগর থানায় ২৫ যাত্রীকে নিয়ে আসার পর সিলেটের পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন যোগাযোগ করলে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ তাদেরকে এসে নিয়ে যায়। তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনেথাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে সিলেটের ১৪ যাত্রীকেও ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ