সিলেটে এক দিনে তিনটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। জেলার ওসমানীনগর, বিয়ানীবাজার ও সদর উপজেলায় খুনের ঘটনাগুলো ঘটে। খুন হওয়া তিনজনের মধ্যে দুইজন বৃদ্ধ ও একজন যুবক।
বুধবার ইফতারের সময় ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের ঈশাগ্রাই গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ওই গ্রামের শিপন মিয়া (২৪) নামে এক যুবক খুন যান। শিপন ওই গ্রামের আশিক আলীর ছেলে।
এছাড়া হামলায় আরও অন্তত ১৫ জন আহত হন। এলাকার লোকজন জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আশিক আলীর সাথে একই গ্রামের জয়নুল হক ধন মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জের ধরে ধন মিয়া কিছুদিন পূর্বে আশিক আলীর বাড়ির লোকজনের চলাচলের রাস্তা নিজের দাবি করে সেখানে দেয়াল তুলে দেন। এনিয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠক করেও কোনো সমাধান হয়নি। গত বুধবার বিকেলে ধন মিয়ার পক্ষের এলাইচ মিয়ার সাথে আশিক আলীর পক্ষের ছোরাব মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ইফতারের পূর্বে ধন মিয়ার নেতৃত্বে একদল লোক আশিক আলীর বাড়িতে হামলা করে। হামলায় আশিক আলীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় আশিক আলীর ছেলে শিপন মিয়াকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে, গত বুধবার ইফতারের পূর্বে বাঁশ কাটা নিয়ে সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের লামারগাঁওয়ে প্রতিবেশি নাজিম উদ্দিনের মারধরে তেরা মিয়া নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
এছাড়া, বুধবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের নালবহর গ্রামে প্রতিবেশি দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষে এক বৃদ্ধ খুন হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১২ জন। নালবহর গ্রামের কয়েছ আহমদের ঘরের চাল থেকে বৃষ্টির পানি প্রতিবেশি আবদুর রউফের উঠোনে পড়া নিয়ে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে উভয় পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পরিবারের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হওয়া আবদুর রউফকে ওসমানী হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম