৩০ জুন, ২০২০ ২০:৫৫

বিশ্বনাথে পানিবন্দি আরও ১৮ গ্রামের মানুুষ

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

বিশ্বনাথে পানিবন্দি আরও ১৮ গ্রামের মানুুষ

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় কোথাও উন্নতি আবার কোথাও অবনতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। কিছু কিছু এলাকায় পানি কমলেও নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ১৮টি গ্রামের মানুষ। পানি প্রবেশ করেছে ‘পুষণী গুচ্ছ গ্রামেও’। করোনাকালে আকস্মিক বন্যায় দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে পানিবন্দি এসব মানুষের জীবন।

জানা গেছে, ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে গত শুক্রবার আকস্মিক বন্যা দেখা দেয় ‘সুরমা নদী’র পার্শ্ববর্তী লামাকাজি ও খাজাঞ্চি ইউনিয়নে। প্লাবিত হয় দুই ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। ভেসে যায় পথ-ঘাট, বীজতলা, সবজি ক্ষেত ও মাছের ঘের।

পানিবন্দি হয়ে পড়েন মানুষ। সম্প্রতি সুরমা নদীর পানি  কমতে শুরু করায় লামাকাজি ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পানি রয়েছে কেবল মীর্জার গাঁও, মাধবপুর, মাহতাবপুর ও রসুলপুর গ্রামে। অবনতি হয়েছে খাজাঞ্চি ইউনিয়নে। নতুন করে পনিবন্দি হয়েছেন এ ইউনিয়নের ১৮টি গ্রামের মানুষ। গ্রামগুলো হলো প্রতাবপুর, নোয়ারাই, কুমারপাড়া, টিমাইঘর, হামদরচক, প্রয়াগমহল, বাদে কাবিলপুর, ভাটপাড়া, বাবু নগর, দ্বীপবন্ধ পশ্চিমপাড়া, নোয়াগাঁও, রঘুপুর, কিশেরপুুর, লালার গাঁও, রামাইচক, তবলপুর, খালপাড় ও পূষণী গুচ্ছগ্রাম। ইতিমধ্যে পানিবন্দি মানুষদের মধ্যে সরকারি সহায়তা অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন।

লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য এনাম উদ্দিন জানান, আমাদের ইউনিয়নে বন্যার
পানি নামতে শুরু করেছে।

খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমাদের ইউনিয়নে পানি বাড়ছেই। নতুন করে পানিবন্দি হয়েছেন আরও ১৮টি গ্রামের মানুষ।

এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কামরুজ্জামান বলেন, পানিবন্দি মানুষের মধ্যে আমরা সরকারি সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছি। আজও দুই ইউনিয়নে ৫ টন করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর