৮ জুলাই, ২০২০ ১৮:১৩

সিলেটে ফের মিললো এডিসের লার্ভা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে ফের মিললো এডিসের লার্ভা

চতুর্থ পর্যায়ের অভিযানেও সিলেট নগরীতে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহক এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে। নগরীর ২৬নং ওয়ার্ডে ক্বিনব্রিজ সংলগ্ন ভার্থখলা এলাকায় পাওয়া যায় এই লার্ভা।

ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সিলেট সিটি করপোরেশনের বছরব্যাপী কার্যক্রমের অংশ হিসাবে বিশেষ অভিযানে এডিস মশার উৎসস্থলগুলো চিহ্নিত করে ধ্বংস করা হচ্ছে।

জানা গেছে, আজ বুধবার সিলেট সিটি করপোরেশনের কয়েকটি ওয়ার্ডে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কীট তত্ত্ববিদের সহায়তায় সিসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে। ২, ১৭ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিশেষ এই অভিযানে সম্ভাব্য এডিস মশার উৎসস্থলসমূহ পরিদর্শন করা হয়।

২নং ও ১৭নং ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি নির্মানাধীন ভবন, ভবনের ছাদ ও ছাদ বাগান পরিদর্শন করা হয়। তবে কোথাও লার্ভার সন্ধান মেলেনি। তবে, অপরিচ্ছন্ন ও ঝোপ-ঝাড়ে মশক নিধনে ফগার মেশিন দ্বারা ওষুধ ছিটানো হয়।

এদিকে নগরীর ২৬নং ওয়ার্ডের ক্বিনব্রিজ সংলগ্ন ভার্থখলা এলাকার সেনেটারি দোকানগুলোতে এবারও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। খোলা স্থানে রাখা সেনেটারি পণ্যে জমে থাকা পানিতে লার্ভা পাওয়া যায়। চিহ্নিত এসব স্থানে লার্ভা ধ্বংসকারী ওষুধ ছিটানো হয়েছে।

সিসিকের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দোকান মালিকদের আবারও সচেতন হবার পরামর্শও দেয়া হয়। খোলা স্থান থেকে প্লাস্টিক বা সিরামিকের পণ্যসামগ্রী সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানানো হয়।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম এই অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, সিলেট নগরীর এই একটি স্থানেই গত বছরও এডিস মশার লার্ভার অস্থিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। এবারও কয়েক দফায় তাদের সচেতন ও সতর্ক করা হয়। কিন্তু খোলা স্থান থেকে তারা পণ্য সরিয়ে নিচ্ছেন না। ফলে বৃষ্টির পরিষ্কার পানি জমছে প্লাস্টিক ও সিরামিকের পণ্যে। উৎপন্ন হচ্ছে এডিস মশার লার্ভা।

ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতার জন্য মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, ডিজিটাল প্রচারণার পাশাপাশি বিশেষ অভিযান পরিচালনার পরও একই স্থানে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া উদ্বেগজনক।

তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, সম্ভাব্য উৎসস্থলে ২ থেকে ৩ দিনের বেশি সময় স্বচ্ছ পানি জমে থাকতে দেবেন না। কোথাও এডিস মশার উৎস চিহ্নিত হলে সিসিকের স্বাস্থ্য বিভাগে জানাতে অনুরোধ করেন তিনি।

বাসা-বাড়ি, পরিত্যক্ত ভবন, ভবনের ছাদ, ফুলের টব বা বালতি, সিরামিক পণ্য, টায়ার-টিউব কিংবা ভবনের যেসব স্থানে পরিস্কার পানি জমে থাকতে পারে, সেসব স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার আহবান জানান তিনি।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর