এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনায় যখন দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। ঠিক সেই সময়
মুখে কুলুপ আটলেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সালেহ উদ্দিন। ঘটনার শুরু থেকেই তিনি নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করার পাশাপাশি বিব্রত ও লজ্জিত বোধ করেন। তার বক্তব্যের পরতে পরতে ফুটে উঠেছে তার ব্যর্থতার গল্প। তিনি সে ব্যর্থতা ঢাকতে নির্যাতিতা তরুণী ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছে ব্যক্ত করে।
এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের ঘটনায় ইতোমধ্যে হাইকোর্ট থেকে বিচারকদের দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই সাথে প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আরও পৃথক তদন্ত কমিটি করা হয়।
এমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সালেহ উদ্দিন বলেন, এমসি কলেজের কোন ব্যাপারে তথ্য দেয়া সম্ভব নয়। সার্বিক বিষয়ে তদন্ত চলছে।
একটি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেন। সেই সাথে অধ্যক্ষের বক্তব্যে ফুটে উঠেছে তার অসহায়ত্বেরও চিত্র।
তিনি জানান, সব কথা তিনি বলতে পারেন না, তার মুখে তালা লাগিয়ে থাকতে হয়। লজ্জিত বিব্রত হলেও তিনি কোনো দায় নেননি। নিজে দায় নেননি, অপরাধীদেরও দায়ী করেননি। তিনি আঙুল তুলেছেন সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে বেড়াতে যাওয়াদের দিকেই।
তিনি দর্শনার্থীদের সচেতন হতে বলে মন্তব্য করেছেন, সন্ধ্যার পর বেড়াতে যাওয়া উচিত নয়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত