টুপি ও পাঞ্জাবি পরে নিয়মিত ক্লাসে আসায় জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল হালিম ও আইসিটি বিভাগের প্রভাষক মুজাহিদুল ইসলামকে অব্যাহতি প্রদানের অভিযোগ ওঠার পর সিলেটজুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ।
শনিবার কলেজের সামনে প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন।
তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছেন, এ দুই প্রভাষককে অব্যাহতি দেয়া হয়নি। বরং প্রতিষ্ঠানের পোষাকবিধি মানতে না পারলে তারা স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিতে পারবেন-এমনটাই বলা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে কলেজের সামনে মানববন্ধনকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আরিফুল ইসলাম রেজা।
কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তিনি বলেন, অনলাইনে যে বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে তা সত্যি নয়। প্রভাষক আব্দুল হালিম ও মুজাহিদুল ইসলামের বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বা তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়নি। গভর্নিং বডির ৫২তম মিটিংয়ে তাদেরকে ডেকে প্রতিষ্ঠানের পোষাকবিধি মানার জন্য কঠোরভাবে বলা হয় এবং ৩১ মার্চের আগে তাদেরকে তিনবার শোকজ পাঠানো হয়। কিন্তু বার বারই তারা দু'জন প্রতিষ্ঠানের পোষাকবিধি মানতে অনীহা প্রকাশ করেন। সর্বশেষ ৩১ মার্চ গভর্নিং বডির মিটিংয়ে তাদেরকে ডেকে বলা হয়-প্রতিষ্ঠানের পোষাকবিধি না মানলে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিতে পারেন। তবে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়নি। এটাই তাদের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ।
এর আগে শনিবার সকালে এ বিষয়ে প্রভাষক আব্দুল হালিম জানান, ‘আমি ও প্রভাষক মুজাহিদুল ইসলাম নিয়োগের সময় পাঞ্জাবি-টুপি পরে কলেজে আসার জন্য গভর্নিং বডির কাছে আবেদন করি। আমাদের তখন লিখিতভাবে অনুমতি প্রদান করা হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের সাবেক অধ্যক্ষ কর্নেল সোহেল উদ্দিন পাঠান এ বিষয়ে বেঁকে বসেন। তিনি আমাদেরকে শার্ট-প্যান্ট পরে আসতে চাপ সৃষ্টি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. কুদ্দুসুর রহমান তিনবার আমাদেরকে নোটিশ প্রদান করেন। সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ গভর্নিং বডির বৈঠক ডেকে আমাদেরকে আর কলেজে না আসতে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেন। তবে আমাদেরকে লিখিতভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. কুদ্দুসুর রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
পরে তার মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা প্রেরণ করা হয়। তাতেও তিনি প্রতিউত্তর দেননি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন