জাফরান খান (১৯) ও তারেক হোসেন (২১)। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব তাদের। শিক্ষা জীবনে দুই জনের কেউই পার হতে পারেননি স্কুলের গন্ডি। তবে কমতি নেই মেধার। সেই মেধা অবশ্য তারা কাজে লাগান না ভালো কাজে।
সাইবার অপরাধী হিসেবে এরই মধ্যে তারা হয়ে উঠেছেন সিদ্ধহস্ত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তারা প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। অসহায় অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য 'মানবিক' আহ্বান জানিয়ে তারা অসংখ্য মানুষের সাথে করেছেন প্রতারণা।
এই দুই 'মানবিক' প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শনিবার (১০ জুলাই) সিলেটের ওসমানীনগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম আইনে মামলা হয়েছে। পিবিআই'র উপ-পরিদর্শক লিটন চন্দ্র বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার (৯ জুলাই) পিবিআই'র একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত জাফরান খান ওসমানীনগর থানার ইলাশপুর দক্ষিণ গ্রামের মৃত আবদুল গিয়াস খানের ছেলে ও তারেক হোসেন একই থানার নিজ করনসী উত্তরপাড়া গ্রামের সুফি মিয়ার ছেলে।
পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদ-উজ-জামান জানান, গত বছরের ৭ ডিসেম্বর মুহিমা বেগম নামে একটি ফেসবুক আইডি খুলে একটি শিশুর জীবন বাঁচাতে চিকিৎসার জন্য সাহায্য চায় এই চক্র। সাহায্য পাঠানোর জন্য দেয়া হয় একটি বিকাশ নাম্বার। একইভাবে বিভিন্ন সময় তারা ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে তারা অসহায়দের চিকিৎসার কথা বলে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে অসংখ্য লোকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পিবিআই’র একটি দল তাদেরকে গ্রেফতার করে। এরপর তাদের 'মানবিক' প্রতারণার নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তারা কি পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তা জানতে আদালতের মাধ্যমে বিকাশ ও নগদ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত