১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২০:০৭

সিলেটে কলেজছাত্রী খুনের আসামি ঢাকায় গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে কলেজছাত্রী খুনের আসামি ঢাকায় গ্রেফতার

সিলেটে গলাকেটে কলেজছাত্রী খুনের ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতার হওয়া সজিব আহমদ (২৫) নিহত কলেজছাত্রী সোনিয়া আক্তারের আপন মামাতো ভাই। মঙ্গলবার সজিবকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পূর্বে একসপ্তাহ ধরে সজিব সোনিয়াদের বাসায় অবস্থান করছিল। হত্যাকাণ্ডের পর সে ঢাকায় পালিয়ে গিয়েছিল। 

গ্রেফতার হওয়া সজিব হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জের শরীফনগর এলাকার নুরুদ্দীনের ছেলে। সজিবের বিরুদ্ধে ডিএমপির ভাসানটেক থানায় শিশু অপহরণের মামলা রয়েছে বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মো. মোমিনুল হক জানান, গত রবিবার দুপুরে সিলেট নগরীর খুলিয়াটুলায় দক্ষিণ সুরমার নূরজাহান মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী ও সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার অভিনেত্রী সোনিয়া আক্তার খুন হন। এরপর থেকে র‌্যাব এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করে। 

র‌্যাব-৯ এর অধিনায়ক আরও জানান, গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসার কথা বলে হত্যাকাণ্ডের একসপ্তাহ আগে সোনিয়াদের বাসায় ওঠে সজিব। হত্যাকাণ্ডের আগের দিন একটি চাকরির জন্য সোনিয়াকে সাথে নিয়ে বিয়ানীবাজার যায় সজিব। হত্যাকাণ্ডের পর সে সিলেট থেকে ঢাকায় পালিয়ে যায়। গত সোমবার রাত পৌণে ৯টার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে সজিবকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে ঢাকার ভাসানটেক থানায় শিশু অপহরণের অভিযোগে ২০১৮ সালে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলায় সে জেলও খেটেছে বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা উইং কমান্ডার মো. মোমিনুল হক। 

এদিকে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সজিবকে একমাত্র আসামি করে মঙ্গলবার সিলেট কোতোয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন সোনিয়ার ভাই পারভেজ  আহমদ। পারভেজ জানান, সোনিয়া খুনের ঘটনার পর তিনি সজিবকে ফোন দিয়েছিলেন বাসায় আসার জন্য। তখন সজিব আসতেছি বলে ঢাকায় পালিয়ে যায়। 

সোনিয়ার মা অমিতা বেগম মেয়ে হত্যাকারীর ফাঁসি দাবি করে বলেন, সজিবই তার মেয়েকে খুন করেছে। সজিব বাসা থেকে যাওয়ার পর তার ফেলে যাওয়া জামা-কাপড়ে রক্তের দাগ পেয়েছেন।  

প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সিলেট নগরীর খুলিয়াটুলা নীলিমা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে সোনিয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন সকালে বাসার সবার সাথে একসাথে নাস্তা করে সোনিয়া। ওই সময় সজিবও বাসায় ছিল। নাস্তার পর বাসার অন্য সদস্যরা সোনিয়ার সৎবাবা অসুস্থ সেলিম মিয়াকে দেখতে হাসপাতালে চলে যান। দুপুর ১২টার দিকে বাসায় ফিরে রুমে সোনিয়াকে দেখতে যান মা অমিতা বেগম। তখন খাটের উপর সোনিয়ার গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কাপড় কাটার রক্তমাখা একটি কাঁচি উদ্ধার করে। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর