সিলেটে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জের ধরে খুন হয়েছেন যুবদলের এক কর্মী। মঙ্গলবার নিহত বিল্লাল আহমদ মুন্সীর (৩০) লাশ নিয়ে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী ও দলের নেতাকর্মীরা।
এর আগে, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুইপক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন বিল্লাল। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে।
নিহত বিল্লাল আহমদ মুন্সী সিলেট মহানগরীর শাহপরাণ বাহুবল এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে। পেশায় তিনি রঙমিস্ত্রি ছিল।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, বাহুবল এলাকার স্কুলছাত্র সাকের ও রাশেদের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব নিয়ে দুটি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশও হয়। কিন্তু উভয় পক্ষের দ্বন্দ্ব মিটেনি। এর জের ধরে সাকেরের পক্ষ নেন ছাত্রদল-যুবদলের উপশহর গ্রুপের কিছু নেতাকর্মী। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপশহর গ্রুপের কয়েকজন নেতাকর্মী সশস্ত্র অবস্থায় বাহুবল গেলে এলাকাবাসীর সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন বিল্লাল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, বিল্লাল মুন্সীর হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। লাশ নিয়ে শাহপরাণ এলাকায় গিয়ে স্থানীয় লোকজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের পর জানাজা শেষে বিল্লাল মুন্সীকে দাফন করা হয়। হত্যার ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করেছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহজনক ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই