চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিন (১৬) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক আদনান মির্জাকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাসফিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন বাদী হয়ে নগরের পতেঙ্গা থানায় এ মামলায় দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর
প্রধান আসামি আদনান মির্জাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে পতেঙ্গা থানা পুলিশ আদনানকে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডের আবেদন জানায়।
এদিকে, তাসফিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের পর আজ দুপুরে তার পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, ‘আদনানকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে হাজির করা হয়েছে। পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করেছে। আগামী রবিবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। আদনানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
পতেঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী ফৌজুল আমিন চৌধুরী বলেন, ‘দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় তাসফিয়ার বাবার দেওয়া মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, তাসফিয়ার বন্ধু আদনান ও তার ছয় সহযোগী তাকে পতেঙ্গার নেভাল এলাকায় নিয়ে হত্যা করেছে।’ তিনি বলেন, তাসফিয়ার বিষয়টি হত্যাকাণ্ড কিনা তা আমরা এখনো নিশ্চিত নয়। এরপরও যেহেতু তার বাবা মামলা দিয়েছেন, আমরা গ্রহণ করেছি।’
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তাসফিয়া, আদনান এবং তাদের এক বন্ধু সোহেল নগরীর গোলপাহাড় এলাকায় চায়না গ্রিল স্টেুরেন্টে বসেন। কিছুক্ষণ পর তাসফিয়ার আম্মা সোহেলকে ফোন করে তাসফিয়াকে দ্রুত বাসায় যেতে বলেন। এ সময় তাসফিয়া আদনানের কাছ থেকে ১০০ টাকা নিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে অটোরিকশায় উঠেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাসফিয়ার মা আবারও আদনানকে ফোন করে তাসফিয়া কোথায় সেটা জানতে চান। আদনান তার কথামতো তাসফিয়ার বাসায় যান। রাত ১২টা পর্যন্ত আদনান এবং তাসফিয়ার পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি শুরু করেন। এরপর গত বুধবার সকালে নগরীর পতেঙ্গায় নেভাল একাডেমির কাছে ১৮ নম্বর ঘাট এলাকায় চোখ, নাক-মুখ থ্যাতলানো অবস্থায় তাসফিয়ার মরদেহ পায় পুলিশ। প্রথমে পরিচয় নিশ্চিত না হলেও দুপুরে পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন। তাসফিয়া কক্সবাজার জেলা সদরের ডেইলপাড়া এলাকার মো. আমিনের মেয়ে। চট্টগ্রাম নগরীর ও আর নিজাম রোডে তাদের বাসা। তাসফিয়া সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন