পরকীয়ার জন্য চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার যুবলীগ নেতা আবুল হাশেমকে প্রাণ দিতে হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। পরিকল্পিতভাবে তাকে নিজ বাড়িতে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ওঠে এসেছে। এ ঘটনায় জড়িত জিফু বেগম (৩৮) নামের এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জিফু বেগমের কাছ থেকে আবুল হাসেমের ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল ফোন ও একটি ট্যাব উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক কর্মকতা।
এদিকে আবুল হাশেমের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানাতে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে রবিবার বেলা দুইটায় হালিশহরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। নগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) রেজাউল মাসুদ বলেন, যুবলীগ নেতা আবুল হাশেমের মৃত্যুর পেছনে অনেক রহস্য রয়েছে। যে নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার কাছ অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে এসব বলা যাচ্ছে না। তবে শিগগিরই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটক জিফু বেগম আবুল হাসেমের দূর সম্পর্কের চাচি শাশুড়ি। তার সঙ্গেই আবুল হাশেমের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এ কারণেই হাশেমকে প্রাণ দিতে হয়েছে কিনা তা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইছামতী গ্রামের নিজবাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা আবুল হাশেম তালুকদার প্রকাশ বাচার অগ্নিদগ্ধ মরদেহ শুক্রবার ভোর ছটায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তালুকদার বাড়ি থেকে আবুল হাশেমের অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার দিন রাতে তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ মে, ২০১৮/মাহবুব