ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড় দারোগাহাটের ওজন স্কেল আগামী সাত দিনের মধ্যে না সরালে চট্টগ্রামের পাইকারি পণ্যের বাজার এবং পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রাখার হুমকি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আজ রবিবার দুপুরে চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখে মানববন্ধন, সমাবেশ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়রকে স্মারকলিপি প্রদান করে এ হুমকি দেন। খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন, পরিবহন মালিকদের বিভিন্ন সংগঠন এবং শিল্পগ্রুপ মিলে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে ওজন স্কেল প্রত্যাহার, শিল্পাঞ্চলে গ্যাস ও পানির স্বল্পতা দূর করা, মিরসরাইয়ের ভ্যাট তল্লাশি কেন্দ্র বন্ধ করা এবং চট্টগ্রাম থেকে পুনরায় কৃষিপণ্যের আমদানি ঋণপত্র ইস্যুর দাবি করা হয়।
স্মারকলিপি গ্রহণকালে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন স্কেল বসানো হলেও দেশের অন্যান্য মহাসড়কে তা নেই। ফলে চট্টগ্রামে মালামাল আনা-নেওয়ায় খরচ তুলনামূলক বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে আমি সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে আলোচনা করে এর সমাধান করব।’
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাউদকান্দির পর এখন বড় দারোগাহাটে আরেকটি ওজন স্কেল চালু করা হয়েছে। দেশের অন্য কোথাও মহাসড়কে তা করা হয়নি। আগে প্রতি গাড়িতে ২০ থেকে ৩০ টন পণ্য আনা নেওয়া করা হলেও ওজন স্কেল চালুর পর এখন ১৩ টনের বেশি পণ্য পরিবহন করা যাচ্ছে না। ফলে চট্টগ্রামে মালামাল পরিবহনে দ্বিমুখী ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। খরচ বেশি পড়ায় চট্টগ্রামের মালামাল বাজারজাত করতে পাইকাররা আগ্রহ হারাচ্ছেন।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমদ বলেন, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা সব সময় বৈষম্যের শিকার। ফলে দেশে ভারসাম্যহীন বাণিজ্য পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে এবং আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। আগামী সাত দিনের মধ্যে ওজন স্কেল প্রত্যাহার করা না হলে খাতুনগঞ্জের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং মহাসড়কে পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার