নগরীর বহদ্দারহাট থেকে শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণে শিকলবাহা ক্রসিং পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার ৬ লেইনের সংযোগ সড়ক খুলে দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ কক্সবাজার ও বান্দরবানের যাত্রীদের ঈদে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে এই সড়কপথ খুলে দেওয়া হয়েছে।
তবে, সড়কের দুটি আন্ডারপাস এলাকার পাশে তিন লাইনের সড়ক দিয়ে গাড়ি যাতায়াতের জন্য কার্পেটিং করা হয়েছে। এতে প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই গাড়ি চলাচল করতে পারবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক আশিক কাদির। এতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রীদের ২ বছরের বিড়ম্বনার অবসান হতে যাচ্ছে।
সেতু এলাকার ওমর আলী মার্কেটের ব্যবসায়ী আবদুল করিম জানান, সংযোগ সড়ক খুলে দেওয়ায় এখন ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে বহদ্দারহাট থেকে শিকলবাহা ক্রসিং যেতে পারবে যাত্রীরা। আগে বহদ্দারহাট থেকে গাড়ি বের হলে কর্ণফুলী ব্রিজ পর্যন্ত কয়েক দফা দীর্ঘ যানজটে পড়তে হতো। এখন এই কষ্ট থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী মুক্তি পাবে।
প্রকৌশলী আশিক কাদির জানান, জুনের ৪ তারিখ থেকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ঈদের আগেই সড়ক গাড়ি চলাচলের উপযোগী করে খুলে দেওয়া হয়েছে। কর্ণফুলী সেতুর দক্ষিণ পাড়ে ৪ লেইনের ৩ কিলোমিটার সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর উত্তর পাড় থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত সামান্য কাজ বাকি আছে। তা ঈদের পরেই শেষ হযে যাবে।
তিনি জানান, ২৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু অ্যাপ্রোচ সড়েকের কাজ শুররু হয়েছিল ২০১৭ সালের ৬ মার্চ। এর মধ্যে ১০৭ কোটি টাকা দিয়েছে কুয়েত সরকার। অবশিষ্ট ১৬৩ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। নগরীর বহদ্দারহাট থেকে শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণে শিকলবাহা ক্রসিং পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সংযোগ সড়কে ঈদে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবেন দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ কক্সবাজার ও বান্দরবানের যাত্রীরা।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন