১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৮:৫৮
চসিকের শিক্ষা বিভাগ

পাঁচটি প্রতিষ্ঠান অধিভুক্ত করা হলেও নতুন প্রতিষ্ঠা হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

পাঁচটি প্রতিষ্ঠান অধিভুক্ত করা হলেও নতুন প্রতিষ্ঠা হয়নি

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) বর্তমান মেয়র দায়িত্বগ্রহণ করেন ২০১৫ সালের ২৬ জুলাই। গত চার বছরে চসিক পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অধিভুক্ত করা হলেও নতুন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেনি। তবে এ সময়ের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবন সম্প্রসারণ এবং মাধ্যমিক স্কুলকে কলেজে উন্নীত করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার দুপুরে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির চারবছর পূর্তি’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক শিক্ষা স্ট্যান্ডিং ক মিটির সভাপতি নাজমুল হক ডিউক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাসেম প্রমুখ।  

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘বর্তমান মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১৬ সালে পাথরঘাটা মহিলা কলেজ ও মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজকে অধিভুক্ত করে। ২০১৮ সালে ফতেয়াবাদ ডিগ্রি কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ এবং হাতেখড়ি স্কুল এ্যান্ড কলেজকে কর্পোরেশনের অধিভুক্ত করা হয়। তাছাড়া ফতেয়াবাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণী চালু করে এটিকে কলেজে উন্নীত করা হয়। একই সঙ্গে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের অর্থায়নে ২০টি প্রতিষ্ঠানে নতুন ও ঊর্ধ্বমুখী ভবন সম্প্রসারণ এবং উন্নয়নকাজ চলছে, মেরামত কাজ চলছে ৮টিতে। জাইকার অর্থায়নে নতুন ভবন নির্মাণকাজ চলছে  ১০টিতে। চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে ১০টিতে নতুন ভবন নির্মিত হয়েছে, কাজ চলছে ৩টিতে। চসিক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে কলেজে ২০ হাজার ৩৩০ জন, মাধ্যমিকে ৩৭ হাজার ৭০০ জন, প্রাথমিক ও কেজিতে ৪ হাজার  ৯৫০ জন শিক্ষার্থী আছে। স্থায়ী শিক্ষক আছেন ১ হাজার ৮৭ জন এবং অস্থায়ী ৬৪১ জন।’

চসিক মেয়র বলেন, ‘আমি দায়িত্বগ্রহণের পর চসিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯০টিতে উন্নীত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান না থাকলে নগরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সন্তানদের  শিক্ষার সুযোগ পাওয়া নিয়ে সংকট থাকত। দায়িত্বগ্রহণকালে শিক্ষা খাতে চসিকের ভর্তুকি ছিল ৪৩ কোটি টাকা। বর্তমানে নানা পরিকল্পনার মাধ্যমে তা কমিয়ে ৩৬ কোটি টাকা করা হয়েছে।’  

তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজে কেউ বুঝে, কেউ না বুঝে, কেউ অন্যের প্রভাবিত হয়ে, কেউ বিরোধীতা করে এবং কেউ উদ্দেশ্যমূলক সমালোচনা করে। কিন্তু আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলবো, চসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পড়ালেখার মান অতীতের চেয়ে ভালো। আগামীতে আরো ভাল হবে।’

প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া বলেন, ‘চসিকের পরিচালনায় ৪৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৩টি কলেজ, ১টি বিশ্ববিদ্যালয়, ১টি পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার ইনস্টিটিউট, ৫টি কম্পিউটার ক্যাম্পাস, ৭টি কিন্ডারগার্টেন, ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৫০টি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, ৯টি মসজিদ, ৪টি সংস্কৃত টোল, ১টি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ১টি গণশিক্ষা কেন্দ্র, ১টি থিয়েটার ইনস্টিটিউট ও ১টি পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে।’

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর