চট্টগ্রামে বিএনপি ও তাদেও অঙ্গসংগঠনগুলোর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফের বাধা দিচ্ছে প্রশাসন। তাই চাপের মুখে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় কোনো কর্মসূচিই সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারছে না বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর কয়েকদিন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কাজে বাধা না দিলেও ফের মারমুখী অবস্থানে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী- এমন অভিযোগ নগর বিএনপি নেতৃবৃন্দের। গত দুই মাসে বিএনপি, জাসাস ও স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্তত ৪টি কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে বিএনপি নেতাকর্মীরা আবারও মামলার ভয়ে রাজপথ ছেড়ে আত্মগোপনে যাচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
এদিকে, গত ২৫ আগষ্ট নগরীর নূর আহম্মদ সড়কে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর-দক্ষিণের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্ঠির লক্ষে লিফলেট বিতরণকালে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা চিত্রনায়ক হেলাল খানসহ নগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
একই ভাবে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের কর্মসূচিতেও বাধা দেয় পুলিশ। সর্বশেষ শনিবার নগরীতে পুলিশের বাধায় মানববন্ধন করতে পারেনি নগর স্বেচ্ছাসেবক দল। বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সংগঠনটি এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছিল। পরে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে বিএনপি নেতাদের উপস্থিতিতে তারা সমাবেশ করে।
সংগঠনটির নেতারা জানান, শনিবার সকালে সংগঠনের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে নূও আহম্মদ সড়কে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াতে শুরু করলে পুলিশ এসে তাদের সেখান থেকে সরে যাবার অনুরোধ করে। মানববন্ধন করার অনুমতি পুলিশের পক্ষ থেকে বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এসময় সেখানে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতা উপস্থিত হন। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান বিএনপি নেতারা।
এ প্রসঙ্গে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ এখন আর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়। আমাদের সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন করার মতো গণতান্ত্রিক অধিকার সরকার কেড়ে নিচ্ছে।
সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নাম শুনলে সরকার আঁতকে ওঠে। এর প্রমাণ হচ্ছে লিফলেট বিতরণ ও মানববন্ধনের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও পুলিশের বাধা। অতীতেও আমাদেও নেতাকর্মীদের উপর জুলুম-নির্যাতন ও মামলা হামলা চালিয়েছে প্রশাসনের বিভিন্ন উইংস ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাতে আামদের শক্তি একটুও ক্ষয় হয়নি বরং আমাদের কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ