চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ আশিয়া কমলা পাড়া এলাকার বাসিন্দা মুর্শিদা বেগম (২০)। আগামী ৫ মে মুর্শিদার সন্তান প্রসবের তারিখ। কিন্তু মাত্র ১০ দিন পূর্বে, সন্তানের মুখ দেখার আগেই তাকে না ফেরা দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে স্বামী মো. রফিক। গত ২৫ এপ্রিল রাতে রফিকসহ আরও তিনজন মিলে মুর্শিদাকে গলা টিপে হত্যা করে দাফন করার অভিযোগ ওঠেছে। কিন্তু ঘটনাটি প্রকাশ হয় বৃহস্পতিবার। তবে স্বামী রফিক মানুষের কাছে প্রচার করেছে, বউকে জিনে মেরে ফেলেছে। এ ঘটনায় সকালে পটিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন শেষে তদন্ত শুরু করেছে।
অভিযোগ ওঠেছে, রফিকের অন্য একটা মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। বউয়ের থাকা দুই ভরি স্বর্ণ নিয়ে ওই মেয়ের সঙ্গে পালাতে চেয়েছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে মুর্শিদাকে হত্যা করে রফিক।
প্রতিবেশী মো. সাজ্জাদ জানান, ‘মুর্শিদার বাড়ি দক্ষিণ আশিয়ায়। সাত বোনের মধ্যে সবার ছোট। তার মা-বাবা কেউ বেঁচে নেই। এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। গত ২৫ এপ্রিল রাতে মুর্শিদাকে স্বামীসহ তিনজন গলা টিপে হত্যা করে। হত্যা করার বিষয়টি পাশের বাসার এক মহিলা জানতেন। তিনি অন্যজনকে বলার সময় তার বক্তব্য রেকর্ডিং করে রাখেন। এভাবে হত্যার বিষয়টি জানাজানি হয়।’
মুর্শিদা বেগমের বড় বোন খুরশিদা বলেন, ‘আগামী ৫ মুর্শিদার সন্তান জন্মদানের তারিখ। এর আগেই আমার বোনকে হত্যা করলো তারা। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।’
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘পাঁচদিন আগের ঘটনা। লাশ দাফনও করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেছে। তাছাড়া অভিযুক্ত স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া মামলার প্রস্তুতিও চলছে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/রেজা মুজাম্মেল