করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে লকডাউনের সুযোগে চুরিতে মেতেছে একটি চোর চক্র। তারা গত কয়েক দিনে একে একে চুরি করেছে কমপক্ষে ২৫ বাসায়। কিন্তু এক কলেজ শিক্ষকের খালি বাসায় চুরি পর ভঙ্গ হয় তাদের চুরির যাত্রা। সিসিটিভি’র ফুটেজের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় এ চোর চক্রকে।
নগরীর বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, একটি চুরির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে অভিনব চোর চক্রের এ সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হয়ে আসে। এ চক্রটি করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে লকডাউনকে পুঁজি করে চুরিতে নেমেছে। এ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’
জানা যায়, করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নগরীর অনেক বাড়ি মালিক ও ভাড়াটিয়া গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে প্রতিদিন ছদ্মবেশে বের হয় চোর চক্রের সদস্যরা। তারা কখনো বাসা ভাড়ার বাহানা কখনো বা কথিত আত্মীয় স্বজন ও বন্ধ-বান্ধবের সাথে দেখা করার নামে ঘুরে বেড়ায় নগরীর অলিগলি। এসময় কোন বাসায় তালাবদ্ধ কিংবা খালি রয়েছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করেন। সুযোগ বুঝে মুহুর্তের তালা বা গ্রিল ভেঙে প্রবেশ করে বাসায়। এ চোর চক্রের রয়েছে চার সদস্য। তারা এক সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করলেও চুরির সময় আলাদা হয়ে যায়। একজন থাকে গেইটের বাইরে পাহারার দায়িত্বে। অন্যজন থাকে বাসার দরজার বাইরে। বাকি দুইজন ঘরে প্রবেশ করে। তাদের একজন আলমারি তালা ভাঙে, অপরজন মূল্যবান জিনিসপত্র খোঁজে বের করে। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে বাসার মূল্যবান জিনিপত্র নিয়ে দেয় চম্পট। গত দুই মাসে এ গ্রুপ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কমপক্ষে ২৫টি চুরি সংঘটিত করে অভিন্ন কায়দায়।
ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘এ চোর চক্রের সদস্যরা খুবই প্রশিক্ষিত। তারা দু মিনিটের মধ্যেই যে কোন তালা ভাঙতে পারে। গ্রিলও কাটতেও লাগে একই সময়। তারা কয়েক মিনিটের ব্যবধানে বাসা চুরি করে পালাতে পারে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই তারা কমপক্ষে ২৫টি চুরি সংগঠিত করেছে। নগরীতে এধরণের আর কয়টি চোর চক্র সক্রিয় রয়েছে তা অনুসন্ধান চলছে।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল