ঈদের আগে অন্যতম বৃহত্তর পাইকারি কাপড়ের বিপণিকেন্দ্র চট্টগ্রামের টেরিবাজার এবং রিয়াজউদ্দিন বাজারও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান এ সময় বন্ধকালীন সব বাজার ও বিপণিকেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদারের আশ্বাস দেন।
সভায় ব্যবসায়ী নেতারা জাকাতের কাপড় পাইকারি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য হোম ডেলিভারি চালু রাখা এবং ফুটপাতে ঈদ বাজার বন্ধেরও দাবি জানান।
টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান বলেন, ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন কয়েকদিনের লোভে খুলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। টেরিবাজার ব্যবসায়ীদের অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েছে। তবে আমরা শুধু জাকাতের কাপড় গুদাম থেকে ট্রাকে ক্রেতাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছি।
সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় যেহেতু প্রতিদিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই জন্য রিয়াজউদ্দিন বাজার, নিউমার্কেট, তামাকুমণ্ডি লেন, জহুর হকার্স মার্কেটের দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতিসহ অধিকাংশ ব্যবসায়ী সমিতি তাদের মার্কেটগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সভায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করার সুবিধার্থে শপিং মল, মার্কেট সমূহের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১১টি কারিগরি নির্দেশনা এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬টি নির্দেশনা মানার পরামর্শ দেন সিএমপি কমিশনার।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের নির্দেশনা-
সরকার ঘোষিত নির্ধারিত সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দোকান-পাট ও শপিং মলসমূহ খোলা রাখা; শপিং মল বা মার্কেটের ২ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী ক্রেতারা সংশ্লিষ্ট শপিং মল বা মার্কেটে কেনাকাটা করা, বসবাসের এলাকা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ক্রেতা সাধারণের নিজ নিজ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখা এবং চেক করে শপিং মলে প্রবেশ করতে দেয়া; বয়স্ক/শিশু/অসুস্থদের শপিং মলে গমনাগমনে নিরুৎসাহিত করা; শপিং মলের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ আলাদা আলাদা নির্ধারণ করা এবং শপিং মলে আগত যানবাহন সমূহকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করণের ব্যবস্থা করা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন