চট্টগ্রামে চলমান ভারী বর্ষণে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরত বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ মাইকিং করা হয়।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে মহানগরের ছয় সার্কেলের সহকারী কমিশনারগণের (ভূমি) নেতৃত্বে ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন পাহাড়ে পাহাড়ে মাইকিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়। একই সঙ্গে স্থানীয় মসজিদ-মাদ্রাসা থেকেও নিয়মিত মাইকিং করা হচ্ছে। তাছাড়া নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে ১৫টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র।
জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রাজিব হোসেন বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় কেন্দ্রিক সুবিধাজনক স্থানে খোলা হয়েছে মোট ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্র। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
জানা যায়, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রস্তুত করা হয়েছে ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্র। এর মধ্যে কাট্টলী সার্কেলের অধীন পাহাড়তলি, ফয়েজলেক, আকবর শাহ, কৈবল্যধাম, খুলশী জালালাবাদ, চন্দ্রনগর এলাকার অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রগুলো হলো- পি ব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফিরোজ শাহ প্রাথমিক বিদ্যালয়, বায়তুল ফালাহ আদর্শ মাদ্রাসা, পাহাড়তলি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, চট্টগ্রাম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ও খুলশী জালালাবাদ বাজার সংলগ্ন শেড।
আগ্রাবাদ সার্কেলের অধীন অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রগুলো হলো- লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শহীদ নগর উচ্চ বিদ্যালয়, ওয়াই ডব্লিউসিএ (পোড়া কলোনির মুখে), শেখ রাসেল প্রাথমিক বিদ্যালয় (গরীব উল্লাহ শাহ্ হাউজিং সোসাইটি) ও মতিঝর্ণা ইউসেফ স্কুল (একে খান পাহাড়)।
চান্দগাঁও সার্কেলাধীন আমিন জুট মিলস সংলগ্ন পাহাড়, ভেড়া ফকিরের পাহাড় ও ট্যাংকির পাহাড় এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো হলো- রউফাবাদ রশিদিয়া মাদ্রাসা। বাকলিয়া সার্কেলাধীন মতিঝর্ণা, বাটালি হিলস্থ ঝুঁকিপূর্ণ জায়গার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো হলো- শহিদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (লালখান বাজার), লালখান বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, এনায়েত বাজার এবাদ উল্লাহ পণ্ডিত প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলিম উল্লাহ মাষ্টার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর