সেবা, গতি, নিরাপত্তা ও সময়ানুবর্তিতা স্লোগানকে সামনে রেখে ১০ দিন ব্যাপী রেলের সেবা সপ্তাহ শুরু হয়েছে। চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে মাস্ক পরা নিশ্চিতসহ নানা উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। ট্রেন যাত্রীদের ফুল, চকলেট ও একটি প্রচারপত্রের পাশাপাশি বিভিন্ন সেবা, পরামর্শ, সমস্যা ও সমাধানের রেলকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
তাছাড়া সেবা সপ্তাহে রেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ট্রেন ভ্রমণে ফুলের বিনিময়ে যাত্রীদের হাসি, সুষ্ঠু ট্রেন ভ্রমণ এবং নিরাপত্তায় আরো উৎসাহিতবোধ করবেন বলেও মন্তব্য করেন যাত্রীরা।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ‘রেলসেবা ও নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২০। প্রতিটি স্টেশনে যাত্রীদের ফুল, চকলেট ছাড়াও প্রচারপত্রের মধ্যে যাত্রীদের কর্তব্য সম্পর্কে ১২টি দিক নির্দেশনা রয়েছে।
সূবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের নিয়মিত একজন যাত্রী ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন বলেন, ‘একটি ফুল বা ভালোবাসা দিয়েই সাধারণ মানুষদের সহজেই যেভাবে মন জয় করা যায়, তা অন্য কিছু দিয়ে পাওয়া কঠিন। দায়িত্বশীল মানুষরা সবসময় সততার মধ্যে থেকেই দেশ ও জাতি এগিয়ে নিয়ে যাক সেই প্রত্যাশাও করছি’।
তবে শুধু একজন যাত্রী নন, ট্রেনের প্রতিটি যাত্রীদের হাতেই দেয়া হয়েছে ফুল চকলেট এবং যাত্রীদের সেবায় একটি প্রচারপত্রও।
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সরদার শাহাদাত আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রতিনিয়ত যাত্রীসেবা নিশ্চিতকরণে রেলের দায়িত্বশীলরা সবসময় কাজ করে যাচ্ছেন। সেই সেবার মান আরো বৃদ্ধি ও গতিশীল করতে এই সেবা সপ্তাহ পালন করা হয়। এতে ট্রেনের সময়সূচি, প্ল্যাটফর্ম দেখা, ওভারব্রিজের অবস্থা, চলন্ত ট্রেন ও বাথরুমের বিদ্যুৎ, পানি, লাইটসহ বিভিন্ন সমস্যার দ্রুত সমাধানে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, রেলওয়ের দায়িত্বশীল মন্ত্রী, সচিব ও ডিজির নির্দেশায় প্রতিনিয়ত এসব মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে যাত্রীদের সেবার প্রশ্নে কোন ধরনের আপোস নেই বললেন জিএম সরদার সাহাদাত আলী।
রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্য কর্মকর্তা (ডিসিও) আনছার আলী বলেন, শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ছেড়ে যাওয়া সূবর্ণা ট্রেনসহ বিভিন্ন ট্রেনে যাত্রীদের ফুল, চকলেট ও প্রচারপত্র দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় রেলসেবা সপ্তাহের শুরুর দিনেই। চেষ্টা করছি সবসময় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সেবা দিতে পারি। তবে এই সেবা নিম্চিত করতে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা রয়েছেন বলে জানান তিনি।
শুক্রবার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে এই রেলসেবা সপ্তাহের প্রথম দিনেই উদ্বোধন করেন পূর্বাঞ্চলের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (সিএমই) ফকির মো. মহিউদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) তারেক মোহাম্মদ সামছ তুষার, সিএসটিই মো. মিজানুর রহমান, রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) চিফ কমান্ড্যান্ট জহিরুল ইসলাম, ডিসিও আনছার আলী, স্টেশন ম্যানেজার রতন, স্টেশন মাস্টার জাফর আলম, নিরাপত্তা বাহিনীর সিআই সালামত আলী, এসআই শওকত হোসেনসহ রেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন