চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ৩ নং মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)। এ পরিষদে গত এক যুগ ধরে জন্ম ও মৃত্যু সনদে ইউপি সচিব স্বাক্ষর করেন না। সচিবের জায়গায় স্বাক্ষর করে আসছেন ইউপির বেলাল নামের একজন ক্যাজুয়াল স্টাফ। যিনি সরকারি কর্মচারী নন। এক যুগ আগে কোনো এক ইউপি চেয়ারম্যান তাকে কাজটি করতে বলেছেন। এটিই তার পরিচিতি, যোগ্যতা। নেই কোনো নিয়োগপত্রও। পরিষদ তাকে নিয়োগ দিয়েছে বলে দাবি করলেও কোনো নিয়োগপত্র দেখাতে পারেননি।
মঙ্গলবার দুপুরে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমীন হঠাৎ পরিদর্শনে গিয়ে এমন চিত্র দেখতে পান।
একই অভিযানে দেখা যায়, ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সুমন নামের এক ব্যক্তি ভুল তথ্য দিয়ে একই নামের দুইটি জন্ম সনদ নিয়েছেন। একটাতে তার জন্ম ১৯৯৭ সালে আরেকটিতে ১৯৯০ সালে। ভুল তথ্য দিয়ে জন্ম সনদ নেয়ার জন্য তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাছাড়া পরিষদের দায়ীদের শো’কজ করা হয়। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও ইউপি সচিব।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, জন্ম-মৃত্যু সনদে সচিবের বদলে ক্যাজুয়াল স্টাফ স্বাক্ষর করার বিষয়টি আমার কাছে বড় বিষ্ময়ের। এটি গুরুতর অন্যায়। অথচ ইউনিয়ন পরিষদ আইন-২০০৯ অনুযায়ী সরকারের পূর্বানুমতি ব্যতীত ইউনিয়ন পরিষদ অতিরিক্ত কর্মচারী নিয়োগ দিতে পারে না। এই ব্যক্তির নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ সরকারের অনুমতি নিয়েছে এমন কোনো প্রমাণও দেখাতে পারে নাই। বিষয়টা আমি স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিত করব।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার