চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় স্ত্রীকে খুন করে লাশ ঘুমের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। স্ত্রীকে খুনের পর লাশ একটি পরিত্যক্ত শৌচাগারের গর্তে চাপাও দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় স্বামীকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করে জবানবন্দি শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিহত শামসুন নাহার বেগম (২৫) কক্সবাজার সদরের কুরুশকুল প্যাঁচারঘোনা এলাকার মৃত সৈয়দ করিমের মেয়ে। তার স্বামী মোহাম্মদ বাবুল (৩৫) কক্সবাজারের উখিয়ার জামতল রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দা আবদুশ শুক্কুরের ছেলে।
এর আগে হত্যাকান্ডের চারদিন পর গত সোমবার গভীর রাতে সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে বলে জানান সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে শামসুন নাহারের বড় বোনের ছেলে একরামুল হক বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। বাবুলকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়। বাবুল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছয় বছর আগে শামসুন নাহারের সঙ্গে রোহিঙ্গা বাবুলের বিয়ে হয়। দুই বছর ধরে তারা সাতকানিয়ার কেঁওচিয়ার নয়াপাড়া এলাকার নুরুর কলোনির ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। গ্রেপ্তারের পর রোহিঙ্গা এই ব্যক্তি খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বিয়ের ছয় বছরেও তাদের সন্তান হয়নি। এ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হত। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝগড়ার জেরে স্ত্রীকে গলাটিপে খুন করে বাবুল। পরে লাশ বাড়ির পাশে অব্যবহৃত একটি শৌচাগারের গর্তে পুঁতে রাখেন। পরদিন বিকেলে বাবুল তার স্ত্রী অসুস্থ জানিয়ে চিকিৎসার জন্য টাকা চেয়ে স্ত্রীর বড় বোনকে ফোন করেন। কিন্তু শামসুন নাহার কোথায় আছে এটা জানতে চাইলে অসংলগ্ন উত্তর দেয়। বোনের খোঁজ না পেয়ে গত শনিবার পুলিশকে তারা বিষয়টি অবহিত করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম