চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১০) ধর্ষণের দায়ে মো. একরামুল হক (৬২) নামে অটোরিকশা চালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরার আদালত এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। মো. একরামুল হক মীরসরাই হিঙ্গুলি ইউনিয়নের দক্ষিণ আজমনগর এলাকার মৃত ছাদিক রহমানের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে অটোরিকশাযোগে নিয়ে আচার ও চকলেট দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যার হুমকিও দেন। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে আসার সময় বিকেলে সোয়া চারটার দিকে বাড়ির পাশে পাটিপাতা বাগানে তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে আবারও ধর্ষণ করে একরামুল। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা দেখলে একরামুল হক পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানায়। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। ঘটনার ২ দিন পর ৭ আগস্ট জোরারগঞ্জ থানায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালতে পুলিশ ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আদালতে ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর পিপি খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, ৮ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণ মামলায় একরামুল হক নামের ওই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড শিশুর পরিবারকে দিতে বলা হয়েছে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম