অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, অপর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং স্ট্রেস হৃদরোগ রোগ বৃদ্ধির মূল কারণ। চট্টগ্রামের মত বড় শহরগুলোতে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। বিশেষ করে, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করায় মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির আয়োজনে হোটেল রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত সায়েন্টিফিক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশেষজ্ঞ বক্তারা হৃদরোগ চিকিৎসা ও গবেষণার বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. নুরুদ্দিন তারেক।
প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির আহ্বায়ক ও বিএসএমএমইউ’র হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শফিউদ্দিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন, কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আব্দুর রব, বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. এ এফ খবির উদ্দিন আহমেদ এবং ট্রেজারার ডা. এ কে এম মহিউদ্দিন ভূঁইয়া মাসুম।
অনুষ্ঠানে প্যানেল এক্সপার্ট হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল হক চৌধুরী, ডা. একেএম মনজুর মোরশেদ, ডা. প্রবীর কুমার দাশ, ডা. মো. হাসানুজ্জামান, ডা. এম এ সাত্তার, ডা. এম এ রাউফ, ডা. আশিষ দে এবং ডা. ফাইজুর রহমান। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ডা. কাজী শামীম আল মামুন।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির জয়েন্ট কনভেনার ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ডা. ইব্রাহীম চৌধুরী, জয়েন্ট সেক্রেটারি ডা. এস এম ইফতেখারুল ইসলাম এবং বেক্সিমকো ফার্মার ডিজিএম মাসুদ রানা খান।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনআইসিভিডির পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আবু তারেক ইকবাল এবং চমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আনিসুল আউয়াল। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন চমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাইফউদ্দিন সোহাগ ও ডা. ইকবাল মাহমুদ।
সেমিনারে আলোচকরা বলেন, দেশে হৃদরোগজনিত মৃত্যু দিন দিন আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং এদের মধ্যে অনেকেই যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে প্রাণ হারান। তাই কেবল চিকিৎসা নয়, সাধারণ মানুষের মাঝে হৃদরোগ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো, ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপন পরিহার করা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন